পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরো কঠোর হবো: ইসি রাশেদা

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩, ০৩:২০ পিএম

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন,কঠোর এবং আর কঠোরতা হবো কিনা এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরো কঠোর হবো। সোমবার(২৯মে)নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, গাজীপুরে নির্বাচনে কতটুকু কী হয়েছে জনগণ তার রায় দিয়ে দেবে। আমরা শুধু বলতে চাই, আগেও চেয়েছি ভবিষ্যতেও চাইবো যতগুলো নির্বাচন করবো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যেন হয়। মানুষ যেন আসে এবং ভোট দিয়ে চলে যেতে পারে এটাই আমাদের প্রধান উদ্দ্যেশ্য। সেটা সব সিটি কেন, জাতীয় নির্বাচনেও আমরা একই নীতিতে থাকবো। কঠোর এবং আর কঠোরতা হবো কিনা এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে আমরা আরো কঠোর হবো। আমাদের একটাই ইচ্ছা অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। যে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে।

চার সিটি একপাক্ষিক ভোট হচ্ছে, এতে নির্বাচন কমিশনের তৃপ্তির জায়গা কতটুকু-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে কে আসবে, না আসবে এটা তাদেরই ব্যাপার। যিনি প্রার্থী হবেন, বা হতে চান না, এটা একদমই নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের ওইভাবে কাউকে আনার সুযোগ নাই। আসলে আমরা অবশ্যই ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন পাবো। কাজ করে আনন্দ পাবো। না আসলেও নির্বাচন করতে হবে। এজন্য তো আমরা স্টপ হয়ে যেতে পারি না। এই কারণে আমাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তির সুযোগটা আসলে নাই। হলে আমরা অনেক খুশি হবো। এখনো আহ্বান করি যারা নির্বাচনে আসছেন না, তারা আসুক, নির্বাচন করুক। অসুবিধাতো নাই।

সিসি ক্যামেরা জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি-না, জানতে চাইতে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা অনেকবার বলেছি। নতুন করে বলার কিছু নাই। সময় আসুক। সময় আসলে আপনারা দেখতে পারবেন। এই মুহুর্তে আমরা এটা নিয়ে বসি নাই। অন্য নির্বাচনগুলো নিয়ে এখন আমাদের মনযোগ বেশি। এগুলো গেলে তারপর যখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করবো, তখন দেখবো। এখন অগ্রীম কিছু বলতে পারছি না।

জাতীয় নির্বাচনের আগে মডেল নির্বাচন বলছেন, তো সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি-না, এখনো জানেন না, তাহলে এই নির্বাচনকে কিভাবে জাতীয় নির্বাচনে মডেল হিসেবে কাজে লাগাবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে সিসি ক্যামেরা নতুন প্রযুক্তি, ইভিএম; এসব নিয়ে ভোট করতে পারলে নির্বাচন খুবই ভালো হতো। যারা ভোটের আয়োজন করছে তারা স্বত্ত্বিতে থাকতো। কারণ ইভিএমের ভোটটা অনেক দিক দিয়েই সহজ। জাল ভোট হয় না, সহিংসতা যেটা, এমন নানান দিক থেকে গণনা করা সহজ। অতো টাইমও লাগে না। কিন্তু ইভিএমটা হয় নাই, সেজন্য তো হাল ছেড়ে দিলে তো চলবে না। সনাতন পদ্ধতিতে যেটা আগে থেকে হয়ে আসছে, এখন ইভিএমে না হলে আমরা পারবো না, এটা তো বলতে পারবো না। আমাদের এজন্য আইনে যা আছে ব্যালটে করা, এগুলো যেন আমরা আরো সুন্দরভাবে করতে পারি, সেজন্য আমরা পন্থা অবলম্বন করবো। যতখানি মোটিবেশনাল কাজ করা দরকার, যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেগুলো আমরা নেবো।

তিনি বলেন,ব্যালটে নির্বাচনটা কিন্তু হয়ে আসছে। কখনো হয়তো অনেকের পছন্দ হয়নি, কখনো হয়তো পছন্দ হয়েছে। আমরা নিশ্চয় জনগনের কষ্টের সৃষ্টি হয় সেগুলো অবশ্যই আমরা নোটিশ করবো। সে জায়গাগুলোতে ব্যাপক ওয়ার্ক করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা করবো।আমরা তো চেয়েছি, এখন না পেলে তো বলতে পারবো না, যে নির্বাচন করবো না। ইভিএমও আমরা চেয়েছি। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি হয়ে ওঠে নাই। এজন্য তো ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। মনোবল হারালেও চলবে না। আমরা যা আছে তার মধ্যেই যতটা ভাল করা যায় সে চেষ্টা করবো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সিসি ক্যামেরা নিয়ে আমরাদের কোনো সিদ্ধান্তই নাই। তাই এটা নিয়ে এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারবো না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: