নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। এর আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জামায়াত আমির শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুরু হয় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
সমাবেশে অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আবু মূসা, সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন মানিক, দক্ষিণের দেলাওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন প্রমুখ।
জামায়াতের ১০ দফা-
১। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবিলম্বে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। অবিলম্বে আটক জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ সকল নেতাকর্মী ও আলেম-উলামাকে মুক্তি দিতে হবে।
৩। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি না দিয়ে জেলখানায় আটক রাখার বেআইনী, অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তির পরিবর্তে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা ও বন্দি থাকাবস্থায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪। অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-মহানগরীর সকল কার্যালয় খুলে দিতে হবে।
৫। সংবিধান স্বীকৃত মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৬। সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমান আহমদ বিন কাসেম, হাফেজ জাকির হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আল মোকাদ্দাস ও মোহাম্মদ ওলিউল্লাহসহ নিখোঁজ ব্যক্তিদেরকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৭। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৮। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনতে হবে।
৯। বিদেশে পাচারকৃত সকল অর্থ ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০। বন্ধ সকল চ্যানেল, জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু ও সাংবাদিক দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
আশরাফুল/সা.এ.
সর্বশেষ খবর