টাঙ্গাইলের সখীপুরে কন্যা সন্তান প্রসব করার ২২ দিনের মাথায় সুলতানা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বোয়ালী ঘোনাপাড়া এলাকায় নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগায় ওই গৃহবধূ। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন সন্ধ্যায়ই শ্বশুড়বাড়িতে পৌছে দেয়। নিহতের পরিবারের বলেছে লাশ তাদেরকে না দিয়ে গোপনে শ্বশুড়বাড়ি পাঠিয়ে দাফন করানো হয়েছে। শ্বশুর -শ্বাশুড়ি নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করছেন নিহতের পরিবার।
জানা যায়, ১০ বছর আগে বাসাইল উপজেলার তিরঞ্চ গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে সুলতানা আক্তারের সঙে সখীপুর উপজেলার বোয়ালী ঘোনাপাড়া গ্রামের সাইদ আলীর ছেলে আজমত আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকে জন্য তার উপর নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। তাদের ঘরে আর্জিনা আক্তার (৩) এবং ২২দিন বয়সী আফরোজা নামের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ৬ মাস আগে স্বামী দুবাই চলে যান। রবিবার রাতের খাবার খেয়ে সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমায় সুলতানা। সকালে ঘুম থেকে ওঠেও সে। সকাল ৭টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার কথা জানায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায়
অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সুলতানার মা তারা ভানু জানান, দুই দিন আগে আমার মেয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিল তার উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে মেরে ফেলবে আমি যেন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি ওর শ্বশুর শ্বাশুড়ি আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলছে। পুলিশ থানায় মামলা নিলো না। লাশটাও দিলনা। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
মোস্তফা কামাল
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর