ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজোলার শরীফাবাদ হাটে কুমার নদের উপর নির্মাণ করা হয়েছে বাশ কাঠ দিয়ে তৈরি দৃষ্টি নন্দন কাঠের সেতু। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয়রা এই উদ্যোগ নেন। দৃষ্টি নন্দন কাঠের সেতু কাজ শেষ এখন শুধু রঙ করা বাকি। বাশ আর কাঠের উপর রঙ তুলির স্পর্শে আরো সৌন্দর্যময় হবে এই বাশ ও কাঠের তৈরি সেতুটি।
শরীফাবাদ বাজার ও সাপ্তাহিক হাট বসে। এই হাটে ও বাজারে নদের ওপারের হাজার হাজার মানুষ পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে আসেন। এছাড়াও শরীফাবাদ স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানে কুমার নদের ঐ পারের প্রায় তিন শতাধীক ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজোলার শরীফাবাদ ও গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার ফতেপুট্টি গ্রাম কে বিভক্ত করেছে কুমার নদ। তবে দুইপারের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল খেওয়া।আগে পারশ্বর্তী চার পাচটি গ্রামরে লোকজন হাট বাজারে আসেন। প্রতিদিন প্রায় বিশ হাজার লোকজন এই নৌ পথে যাতায়েত করে। কুমার নদের উপর খেওয়া ছিল মাঝে মধ্যে ঘটত দুর্ঘটনা। এছাড়া খেওয়া পাড়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষাতো ছিল নিত্যদিনের সাথী। এখন কুমার নদের উপর বাশ ও কাঠের তৈরি সেতু নিরমান হওয়ায় জন দুর্ভোগ কমেছে।
জানা যায় স্থানীয় পরাজিত চেয়াম্যান প্রার্থী ফিরোজোর রশীদ (নিরু খলিফা) ও দুই পারের মানুষের নিজস্ব অর্থায়নে এই বাশ কাঠ দিয়ে তৈরি দৃষ্টি নন্দন কাঠের সেতু নির্মান করা হয়েছে।
এই বিষয়ে মিম নামরে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলেন, আগে আমাদের নৌকায় করে স্কুলে যেতে হত এর ফলে অনেক সময় স্কুলে লেট হয়ে যেত। আবার কখনো নৌকা ডুবে বই খাতা ভিজে যেত। এখন বাশ ও কাঠের তৈরি সেতু নিরমান হওয়ায় আমাদের খুব ভালো হয়েছে।
শরীফাবাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বিল্লাল মোল্লা বলেন, শরীফাবাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ম্যানোজং কমিটির সভাপতি ফিরোজোর রশীদ (নিরু খলিফা) সহ দুই পারের মানুষের উদ্যোগে এই বাশ কাঠ দিয়ে তৈরি দৃষ্টি নন্দন কাঠের সেতু নির্মান করা হয়েছে। আগে প্রচন্ড জনদুর্ভোগ ছিল। আমরা সরাকারের কাছে জোড় দাবি জানাই এখানে যেন একটি কংক্রিটের সেতু নির্মান করে দেন।
শরীফাবাদ বাজারের মাসুদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাড়ি নদীর ওপার হবার কারনে আগে সন্ধার মধ্যে দোকান বন্ধ করে চলে আসতে হতো না হলে পারাপারর নৌকা থাকতো না। এখন বাশ ও কাঠের পুল হওয়ায় আমরা রাত ১০ পর্যন্ত দোকানদারী করতে পারি। এছাড়া আগে অনেকেই নদী পারাপরের ঝামেলা এড়াতে দূরে গিয়ে বাজার সদাই করত। এখন কাঠের পুল হওয়ায় আমাদের বেচা কেনা ও বাড়ছে।
শরীফাবাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ম্যানোজং কমিটির সভাপতি ফিরোজোর রশীদ (নিরু খলিফা) বলেন, আমি শরীফাবাদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ম্যানোজং কমিটির সভাপতি হবার কারনে ওপার থেকে আসা ছাত ছাত্রীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে এই সেতু নির্মানের চিন্তা আসে। এছাড়াও প্রতিদিন কমপক্ষে বিশ হাজার লোকজন হাটে ও বাজারে পণ্য বেচা কেনা করতে আসে। নদী পার হতে গিয়ে মাঝে মধ্যে ঘটত দুর্ঘটনা। তাই আমরা কাঠ ওবাস দিয়ে এই সেতু নির্মান করি। আম মাননীয় এমপি মহোদয় এর মাধ্যমে সরকারের কাছে অনুরোধ করবো এখানে যেন একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মান করে দেন।
এমআর/বা.স.
সর্বশেষ খবর