সোনাগাজির মুহুরি পজেক্ট এলাকার এগ্রো কমপ্লেক্স'র পাশে ৭০ একর জমিতে চাষ হচ্ছে আম, কাঁঠাল,পেয়ারা, কলা, পেঁপে সহ বাহারি রকমের ফল ফলাদি।এছাড়াও হচ্ছে নানান জাতের সবজির চাষ।এসব সবজির সংগ্রহে কাজ করছেন বিভিন্ন শ্রমিক।খামার বাড়ির বাগান পরিচর্যা করছেন সেনাবাহিনীর সাবেক অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সোলেমান।
সোলেমানের সাথে কথা বলে জানা যায় 'মাত্র ৬ একর জমিতে তিনি ফল-ফলাদি তরুলতার চাষ করলেও বর্তমানে এর সংখ্যা প্রায় ৭০ একর জমির পরিমানে হচ্ছে।
বর্তমান আমের সময়ে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ করছেন তিনি। উল্লেখ যোগ্য আম সমূহ হল: গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, তোলাপলি, আম্র পালি, হাড়িভাঙ্গা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফলের ও চাষাবাদ করেন তিনি। বিভিন্ন গাছের চারা সংগ্রহে এবং শর্সে তেল নিতে দূরদূরান্ত হতে লোকজন আসেন তার বাগানে।
মেজর সোলেমানের খামারে কাজ করেন স্থায়ীভাবে ২৪ জন।তার বাগানে অস্থায়ী মজুরিতে কাজ করেন আরও ১০ জন।বিভিন্ন লোকজন প্রায় অনেকবছর যাবৎ তার খামারে কাজ করছেন।বরিশালের এক মহিব কাজ করেন ৩৪ বছর।
কর্মচারীদের বক্তব্য মতে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গাছ রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির আমও উৎপাদন হয়।দেশ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ভুটান, চীন প্রভৃতি।
প্রতিবেদককে তিনি বলেন, তার বাগানে বর্তমানে ৬ হাজার গাছ আছে। তন্মধ্যে কিছু কলম করা গাছ রয়েছে। এবার হাড়ি ভাঙ্গা আম বিক্রি হয়েছি ২০০ টাকা। বাকি গুলো ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হয়। এবার তিনি ৯০ জাতের আম বিক্রি করেছেন।বর্তমানে ৩ প্রজাতির আম রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার জানান' সোলেমানের বাগানের ফলন বেশ ভাল। তিনি একাধিকবার বাগান পর্যবেক্ষন করেছেন।পরীক্ষানাগারে তিনি তার উৎপাদিত ফল ল্যাবটেস্ট করে দেখেছেন। এখানে কোনরুপ খারাপ ফলন তিনি উৎপাদন করেন না এবং কোন ক্ষতিকর কীটনাশক ও ব্যবহার করা হয় নি।'
সোলায়মান ১৯৮৬ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আম, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন, মধু, শর্ষে উৎপাদন ও নার্সারি তৈরি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে ১৯৯২ সালে ২-৩ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে পারিবারিক জমিতে খামার প্রতিষ্ঠা করেন।
সোলাইমান একজন পরিশ্রমী উদ্যোক্তা। ফলে তার বৃদ্ধ বয়সেও কোন রুপ রোগ বালাই তেমন নেই বলে জানান সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর