সম্মানজনক ডায়ানা পুরস্কার পেয়েছেন ইয়ুথ ফর চেইঞ্জ বাংলাদেশ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জহির রায়হান। ২৪ বছর বয়সী রায়হান একজন সমাজকর্মী ও লিঙ্গ সমতার প্রবক্তা। ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে তার অসামান্য অবদানের জন্যই তিনি মর্যাদাপূর্ণ ডায়ানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
একজন জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট হিসাবে জহিরের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৪ বছর বয়সে। বছরের পর বছর ধরে আবেগ এবং উৎসর্গই তাকে নারী ও শিশুদের অধিকারের জন্য এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পরিচালিত করেছে।
জাহির ও তার সহযোগীরা ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ, একটি যুব সংগঠন যা জেন্ডার স্টিরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং লিঙ্গ বৈষম্যের অন্তর্নিহিত কারণগুলিকে সমাধান করার জন্য নিবেদিত। জহির, তার কাজের মাধ্যমে যুবসমাজের জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন, সুশীল সমাজের সংগঠনগুলির সাথে অংশীদারিত্ব করা, সরকারী পদক্ষেপের পক্ষে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
জহির হাজারও যুবক ছেলে-মেয়েদের লিঙ্গ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে লিঙ্গ, সমতা, সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন। বর্তমানে জহির ও তাদের সংগঠন মেয়েদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ৮ জেলায় প্রায় ৩০০০ ছাত্রীকে এই সেবা পৌঁছে দিয়েছে তারা।
জহিরের অসামান্য অ্যাডভোকেসি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল হেডকোয়ার্টার ২০২১ সালে একজন গ্লোবাল ইয়াং ইনফ্লুয়েন্সারের স্বীকৃতি দিয়েছে। জহির রায়হান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগীতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন ও অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
জহিরদের সংগঠনটি ইতিমধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর), বানিজ্য মন্ত্রণালয় (সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন আ্যক্ট, ১৮৬০) থেকে নিবন্ধিত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (এনজিও বিষয়ক ব্যুরো) নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান। এ ধরনের সম্মানজনক স্বীকৃতি জহিরের কাজকে অনুপ্রানিত করবে এবং জহির সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে তার কাজ ও সংগঠনের জন্য।
উল্লেখ্য, প্রয়াত রাজকুমারী ডায়ানার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত ডায়ানা পুরস্কার ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী সংগঠকদের দেয়া হয়ে থাকে। মূলত যারা তাদের কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে তাদেরই এই পুরষ্কার দেয়া হয়ে থাকে।
এমআর/বা.স.
সর্বশেষ খবর