
জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ নূরে আলম। তিনি দূর্গাপুর ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের নাগড়পাড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আক্তারুজ্জামানের ছেলে। জয়পুরহাটে বদলির আগে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এর দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৫তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন সাহসী এই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে রাঙ্গামাটি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), পটুয়াখালী কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), মানিকগঞ্জ শিবালয় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি), চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার, সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান (র্যাব) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ ও নারায়নগঞ্জের জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুলিশ বিভাগে চাকরিতে আসার পর থেকে জনগণের সেবার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করে কর্মস্থলের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ময়মনসিংহ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) থাকাকালীন জেএমবি আটকে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকাকালীন মাদক ও অপরাধ নির্মূলে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। সেবাপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি এবং যথাসম্ভব তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নিই।
পুলিশ সুপার নূরে আলমের সকল ভাই শিক্ষা জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ৫ ভাইদের মধ্যে নূরে আলম সবার বড়। বাকী ৪ জনের মধ্যে একজন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর ও বাকীরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। নুরে আলম পুলিশের চাকুরিতে আসার পূর্ব থেকেই তার বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। নুরে আলমের শ্বশুরও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। নুরে আলমের বাবা ব্যবসার পাশাপাশি তার সকল সন্তানদের পড়ালেখা করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাদের পরিবারের এই সফলতার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একটি চক্র কিছুদিন ধরে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর