• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১৫ মিনিট পূর্বে
মোঃ আশরাফুল আলম
বশেমুরবিপ্রবি (BSMRSTU) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৩, ০৪:২৮ দুপুর
bd24live style=

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষদের অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি, নীরব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ছবি: প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে পালিত হচ্ছে  শিক্ষক সমিতির ঘোষিত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতি। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবীদাওয়া পূরণে কোনো আশ্বাস দেওয়া বা সমাধানে বসার লক্ষণ না থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে বলে শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক দাবি ৬ দফা আদায় না হওয়ায় শিক্ষক সমিতি গতকাল (১অক্টোবর)  থেকে সকল প্রকার ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন এবং ৬ দফা দবি উত্থাপন করেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শিক্ষকদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া না হলে ১অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম হুশিয়ারি দেন তারা।

দাবিসমূহ জানান: 

১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধনী ফলক (যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম অঙ্কিত ছিল এবং স্থানটি শেখ হাসিনা চত্বর নামে পরিচিত) ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২। আপগ্রেডেশন নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণ করতে হবে।

৩। জনাব মো: মইনুল ইসলাম ইংরেজী বিভাগ, জনাব মোঃ ইব্রাহীম শেখ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জনাব মোঃ হুমায়ূন কবির আইন বিভাগ, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষভাবে আপগ্রেডেশন নিশ্চিত করতে হবে।

৪। আপগ্রেডেশন প্রাপ্যতার তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপগ্রেডেশন সম্পন্ন না হলে ৯১ তম (একানব্বই) দিন থেকে আপগ্রেডেশন প্রাপ্যতার তারিখ বলে বিবেচিত করতে হবে। 

৫। ২৭ ও ২৮ তম রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষাছুটির বিপরীতে আপগ্রেডেশন প্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দকে ডিউডেট গণনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের আলোকে ডিউডেট সুবিধা প্রদান করতে হবে।

৬। পাশকৃত পারিতোষিক নীতিমালার সংশোধন পাশ করে সেই কপি বিভাগ সমূহে সরবরাহ করতে হবে।

এদিকে করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগই সেশনজটে রয়েছে অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবীদাওয়া পূরণে কোনো আশ্বাস দেওয়া বা সমাধানে বসার লক্ষণ না থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭-১৮  সেশনের আঞ্জুমান আঁরা বলেন," ২০১৯ সালে ভিসি বিরোধী আন্দোলনের পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয়। এতো এতো সমস্যা যেখানে বেশিরভাগ সমস্যারই কোনো সুষ্ঠু সমাধান দেওয়া হয়নি। শিক্ষক সমিতির এই আন্দোলনকে অনেক শিক্ষার্থীই অযৌক্তিক মনে করছে। একটু বিবেচনা করলেই দেখা যায়, শিক্ষকদের কোনো দাবীই অযৌক্তিক নয়। সমস্যা সমাধানে এখন অবধি কোনো তদন্ত কমিটিই আশানুরূপ সমাধান দেয়নি। নামে মাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করে এই প্রশাসন। মাননীয় ভিসি মহোদয় অনেক সমস্যার সমাধান দিয়েছেন, কিন্তু বেশিরভাগই তিনি আশ্বাস অবধি সীমাবদ্ধ রেখেছেন। যার পরিপূর্ণ ফলাফল আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাচ্ছি না। এভাবে সমস্যা গুলো রয়ে যায়, কিন্তু সমাধান হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা সেক্টরে সংস্কারের প্রয়োজন। শিক্ষকেরা যদি পূর্নাঙ্গ সুযোগ সুবিধা না পায়, তাহলে উনারা কেনো এখানে থাকবেন?  শিক্ষকদের পরিপুর্ণ সুযোগ সুবিধার সাথে সাথে তাদের অধিকার নিশ্চিত করে শিক্ষাদানের সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরী করা দরকার এই মুহুর্তে।’’

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, ‘‘শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও হেনস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে দফায় দফায় বিদ্যমান দাবিসমূহ নিয়ে নীতিনির্ধারক ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে আলোচনায় বসা, বারংবার মানববন্ধন করা, প্রশাসনিক অবরোধ স্থাপন করেও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। এমতবস্থায় সাধারণ সভায় সাধারণ শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমানের কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছে। এগুলো কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডা নয়, এটি সামষ্টিক এজেন্ডা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত এসব সমাধানে কোনো সদিচ্ছা পোষণ করেনি, বরং হীন উদ্দেশ্য নিয়ে নিশ্চুপ অবস্থান গ্রহণ করে আছে যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিভাইড এন্ড রুল গেইম খেলা যায়। যেহেতু এটি সকল শিক্ষকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ইস্যু, তাই সাধারণ শিক্ষকেরা না চাইলে সমিতি প্রশাসনের সাথে কোনো সমঝোতায় যেতে রাজি নয়। তবে আমরা প্রত্যাশা করি প্রশাসন দ্রুতই সমাধানের পথে হাঁটুক এবং সার্বিক অচলাবস্থা নিরসনে তাদের সদিচ্ছার প্রমাণ দিক। এই অচলাবস্থা কারোরই কাম্য নয়।’’

তবে শিক্ষদের কর্মসূচির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের ভূমিকা জানতে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ [email protected]