• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ৮ মিনিট পূর্বে
আখলাকুজ্জামান
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:৪৯ দুপুর
bd24live style=

রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই, সরকারি দুটি এ্যাম্বুলেন্স তালাবদ্ধ

ছবি: প্রতিনিধি

জ্বালানি সংকটের কারণ দেখিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি দুটি এ্যাম্বুলেন্স প্রায় ৪ মাস ধরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্স দুটিতে রোগী বহন করা হচ্ছেনা। ফলে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সে ভাড়ায় রোগী বহন করতে গিয়ে অর্থের সাথে বেড়েছে ভোগান্তিও। দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালটিতে  এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকলেও সংকট নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, ২০০৯ সালে এই হাসপাতালটি ৩১ শয্য থেকে ৫০ শয্যে উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলনবিলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ ছাড়াও আশপাশের সিংড়া, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার বহু মানুষ এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া প্রতি ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৫০ জন রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। আঃন্ত এবং জরুরী বিভাগ মিলিয়ে প্রায় প্রতিদিন দুইজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অনেক সময় রোগীর স্বজনেরা বিদ্রুপ ব্যবহারও করেন। এমন জণগুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে।

হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনে ব্যায় হয় সীমিত। কিন্তু বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে সেই ব্যায় আরো তিনগুন বাড়ে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার জ্বালানি তেল ব্যায় হয় সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট শাখা থেকে বরাদ্দ আসে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা। মূলতঃ ফিলিং স্টেশন থেকে বাৎসরিক চুক্তিতে জ্বালানি তেল কিনে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু গত অর্থ বছরে তেল বাবদ ১৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়ায় সরকারিভাবে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সেবা।

সরেজমিনে রোগীর স্বজনরা জানান, রোগীর মূমুর্ষ সময়ে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স পাননি তারা। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ব্যয়ে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে নাটোর এবং রাজশাহী নিয়েছেন। এতে অর্থের সাথে নষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সময়। ফলে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে তেলের বরাদ্দ না থাকায় বাধ্য হয়েই এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সংকট নিরসনে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা দাবি করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com