বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিনদিনের অবরোধের শেষ দিন চলছে আজ। বিএনপির আহ্বানে ডাকা দেশব্যাপী চলমান এই অবরোধের সমর্থনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন-জিয়া পরিষদ। এসময় জিয়া পরিষদের ব্যানারে একটি র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন থেকে শুরু করে মেইন গেট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।

অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জিয়া পরিষদের মুখোমুখি অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১২টায় জিয়া পরিষদ অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ তাদের মুখোমুখি অবস্থান নিলে জিয়া পরিষদ দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগকে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। ছাত্রলীগ সরে যাওয়ার পর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৫জন নেতাকর্মীকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে, গতকাল (১ নভেম্বর) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি করেছে।

একইদিনে, রাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন তারা। পরে ছাত্রলীগ খবর পেয়ে ভবনগুলোর তালা খুলে দেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে আজকের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডাররা দেশীয় চা-পাতি রামদা রড দিয়ে হামলা করে ছাত্রদলের ৪জনকে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য জাকির রেদোয়ান, সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রদল নেতা নাহিদুজ্জামান, জোহা হল ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন আহত হোন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আমরা বিক্ষোভ মিছিল পালন শেষে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিলাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ এদিক দিয়ে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে যাচ্ছিলেন। তারা আমাদেরকে দেখে যাওয়ার সুযোগ করে দিলে আমরা চলে আসি।

এদিকে গত পরশুদিন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী দুইটি একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে ছিল। আমরা তা খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। মাহমুদুল মিঠুর নেতৃত্বে আজও কিছু ছাত্রদল নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা করার জন্য ক্যাম্পাসে এসেছিল। আমরা তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দিয়েছি। যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলবে আমরা তাদের পাহারাদার হিসাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করব।"

সালাউদ্দিন/সাএ