দেড় বছর আগে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ হয়। এটাকে কেন্দ্র করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো হয় গুজব।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. রাকিবুর রহমান ফাহিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে ডিএমপির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এখন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক এস এম শাহ জালাল। আদালত অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ বলে সই করে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন মো. তাজউদ্দিন আহমেদ রাসেল ও মো. তারেক রহমান। এদের মধ্যে তারেক পলাতক ও অপর দুজন জামিন রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট দোকান কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করায় আসামির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আসামিরা ফেসবুকে পোস্ট এবং লাইভে এসে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে মেয়র ফজলে নূর তাপসের মানহানি করাসহ নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে উসকানি দিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেন, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় দুজনের নাম ও তিনটি পেজের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর ২ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রিমান্ড শেষে ৬ জানুয়ারি তিনি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে ১৮ জুন রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে তিনিও দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. রাকিবুর রহমান ফাহিম নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বাংলাদেশ টাইমস নামে একটি প্রকাশিত ভিডিও শেয়ার করা হয়। তাজউদ্দীন আহমেদ রাসেল নামের ফেসবুক আইডি থেকে আইনিউজবিডি নামের একটি পেজে প্রকাশিত ভিডিও তিনি শেয়ার করেন।
এছাড়া ইলিয়াস হোসাইন মিডিয়া নামের একটি পেজ থেকে ভিডিও সম্প্রচার করা হয়। এসব ফেসবুক পেজ ও আইডিতে প্রকাশিত ভিডিওতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য পোস্ট করা হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর