• ঢাকা
  • ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ২ ঘন্টা পূর্বে
প্রচ্ছদ / শিক্ষা / বিস্তারিত
সম্পাদনা: সালাউদ্দিন আহমেদ
সাব এডিটর
প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৪০ বিকাল
bd24live style=

দুই বছরেই ঝরে গেল ৫ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী, বেশি মেয়েরা

সংগ্রহীত ছবি

অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি শেষ করে ২০২২ সালে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৩ শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) বসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসছে ১৭ লাখ ১০ হাজার ২৯৬ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যায়ে গত দুই বছরে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, যা মোট শিক্ষার্থীর ২৩.৮০ শতাংশ।

দুই বছরে বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ‘উদ্বেগজনক’ বলছেন শিক্ষাবিদরা। তাদের মতে, প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করা গেলেও মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না। এ জায়গায় সরকারকে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা ও ধরে রাখার জন্য সরকার প্রতি বছর উপবৃত্তি, বিনামূল্যে বই, খাবার দেওয়াসহ অন্যান্য খাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এরপরও বিভিন্ন পর্যায়ে এত অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী কেন ঝরে পড়ছে— এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তাদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ১০ হাজার ২৯৬ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী তিন লাখ ১১ হাজার ৫১৩ জন।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২১ সালে জেএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণিতে (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৩ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এবার এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে ১৭ লাখ ১০ হাজার ২৯৬ জন। অর্থাৎ নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেও এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেনি পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্রী আট লাখ ৯১ হাজার ৭২১ জন এবং ছাত্র আট লাখ ১৮ হাজার ৫৭৫ জন। অর্থাৎ তারা শিক্ষার মূল স্রোত থেকে হারিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এবার ঝরে পড়ার হার একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। কারণ, ব্যাচটি করোনাপরবর্তী ব্যাচ। যারা কম বিষয় বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়। এবার যেহেতু পূর্ণ সিলেবাস এবং সব বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে তাই তারা হয়তো কুলিয়ে উঠতে পারেনি। তার সঙ্গে বাল্যবিয়ে, কর্মজীবনে প্রবেশসহ অন্যান্য কারণ তো রয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ‘অতিমাত্রার শিক্ষাব্যয়’-কে দায়ী করছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, সমাজের অতিদরিদ্র ব্যক্তিটিও চান তার সন্তান লেখাপড়া করুক। কিন্তু শিক্ষা নিয়ে দেশে যে ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, নোট-গাইড আর প্রাইভেট-কোচিংয়ের যে দৌরাত্ম্য চলছে, কম আয়ের পরিবারগুলো এ ধাক্কা সামলাতে পারছে না বলেই ঝরে পড়ার ঘটনা ঘটছে।

ঝরে পড়ার হারে মেয়েরা এগিয়ে

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১১ লাখ ৭৪ হাজার ১৭ মেয়ে। এসএসসির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছে আট লাখ ৯১ হাজার ৭২১ জন। অর্থাৎ ঝরে পড়েছে দুই লাখ ৮২ হাজার ২৯৬ জন। অন্যদিকে, নবম শ্রেণিতে ছেলেরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৬ জন। তাদের মধ্যে এসএসসিতে ফরম পূরণ করেছে আট লাখ ১৮ হাজার ৫৭৫ জন। ঝরে পড়েছে দুই লাখ ৫২ হাজার ১৪১ জন। ছেলেদের তুলনায় মেয়ে ৩০ হাজার ১৫৫ জন বেশি ঝরে পড়েছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ স্তরের মেয়েদের ঝরে পড়ার হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ বাল্যবিয়ে। এ ছাড়া, শিক্ষার ব্যয় বেড়ে যাওয়া, দারিদ্র্য, নিরাপত্তাহীনতার কারণেও অনেকে ঝরে পড়েছে।

জানতে চাইলে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, স্কুল ভর্তি, পাস ও ভালো ফলাফলের দিক থেকে মেয়েরা যেমন এগিয়ে তেমনি ঝরে পড়ার হারেও তারা এগিয়ে। এটি উদ্বেগজনক। বাল্যবিয়ে, নিরাপত্তাহীনতা, পরিবার থেকে মেয়েদের পেছনে শিক্ষায় বিনিয়োগ না করার প্রবণতা মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিতে বারবার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এক থেকে একাধিক বিষয়ে পরীক্ষা দেবে তিন লাখ ১১ হাজার ৫৩৩ পরীক্ষার্থী। ফলে নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে পরীক্ষায় বসবে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কেউ এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করেছিল বা কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পাওয়ায় মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে এক বিষয়ের পরীক্ষা দেবে সবচেয়ে বেশি এক লাখ ৯০ হাজার ৭৪৩ জন। দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেবে ৫৯ হাজার ৫৪৫ জন। তিন বিষয়ের পরীক্ষা দেবে ১৯ হাজার ৩৩৫ জন, চার বিষয়ের পরীক্ষা দেবে পাঁচ হাজার ৬৫০ জন। নতুন করে সব বিষয়ে পরীক্ষা দেবে ৩৬ হাজার ২৬০ জন।

কোন বোর্ডে কতজন ঝরে পড়ল

বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংখ্যাগত হিসাবে ঝরে পড়ার হারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সবচেয়ে এগিয়ে। ২০২২ সালে এ বোর্ডে চার লাখ ৩৫ হাজার ৬২৬ জন নিবন্ধন করলেও পরীক্ষা দিচ্ছে তিন লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ জন। ঝরে পড়েছে এক লাখ ৭০৬ জন। এভাবে রাজশাহী বোর্ডে ঝরে পড়েছে ৩৫ হাজার ২৯১ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৫৪ হাজার আটজন, যশোর বোর্ডে ৪৪ হাজার ৫২২ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩৫ হাজার ১৩৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ১০ হাজার ১২৫ জন, সিলেট বোর্ডে ২৭ হাজার ২০১ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ২৭ হাজার ৪৯২ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৬ হাজার ৫৭৩ জন ঝরে পড়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডে তিন লাখ ৫১ হাজার ৪০৮ জন নিবন্ধন করলেও পরীক্ষা দিচ্ছে দুই লাখ ৩২ হাজার ২৪৯ জন। টেকনিক্যাল বোর্ডে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৭৯ জন নিবন্ধন করলেও পরীক্ষা দিচ্ছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৫৬ জন।

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ [email protected]