প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা পাবেন মাধ্যমিক ও সমমানের অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এদিকে এই বিজ্ঞপ্তিটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘৬ষ্ঠ–১০ম শ্রেণি: প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা সহায়তা–আবেদন শুরু।’
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি যাচাই করে যা দেখা গেছে
বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে (৬ষ্ঠ–১০ম শ্রেণিতে) ২০২৪ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বা অধ্যয়নরত অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হবে। ভর্তি সহায়তা পাওয়ার জন্য ই–ভর্তি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি সহায়তার আবেদন করতে হবে।’
আবেদনের জন্য কোন শিক্ষার্থীরা যোগ্য হবে সে প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেসামরিক সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ অনুযায়ী ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীর সন্তান আর্থিক এ অনুদান প্রাপ্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে পিতা, মাতা, অভিভাবকের বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এবং দুস্থ পরিবারের সন্তান ভর্তির আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির বিষয়বস্তু ও আবেদনের শর্ত থেকে স্পষ্ট, মাধ্যমিকের প্রত্যেক শিক্ষার্থীই প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অর্থ সহায়তা পাবে না। এ সহায়তা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। এ সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা আছে।
ভর্তি সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অবেদন করতে হবে।
ভর্তি সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ প্রয়োজন হবে। আর সরকারি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকদের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন বা সুপারিশ প্রয়োজন হবে।
আবেদনের চার থেকে ছয় মাস পর টাকা পাঠানো হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি সহায়তার জন্য নির্বাচিত হলে তার মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর