পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রায় দুইদিন পার হতে চললেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএলএন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ আসনে ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
ফলে এমন অবস্থায় জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএলএন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তবে এক্ষেধে বাঁধা হচ্ছে, দুলই চাইছে- প্রধানমন্ত্রী হবে তাদের শীর্ষ নেতা।
পিএমএলএন চাইছে, নতুন জোট গঠিত হলে সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ। কিন্তু ভোটের হিসেবে তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জানিয়েছে, নতুন জোটে যেতে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি রয়েছে দলটির।
পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ শুক্রবার জিও নিউজকে বলেন, ‘নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এজন্যই জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছেন…. জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু আমরা তাকে (নওয়াজ) প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।’
এমন অবস্থায় আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের নাম। যদিও এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি ইমরান। রয়েছে কারাবন্দি। এমনকি নির্বাচনে তার দলের নাম, প্রতীক ব্যবহার করেও কেউ অংশ নিতে পারেনি। ইমরান খান সমর্থিতরা অংশ নিয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। বিভিন্ন প্রতীকে।
তবুও তারা নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন। জিতেছেন প্রায় ৯৯টি আসনে। এমন অবস্থায় এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও পার্লামেন্ট গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধরা হচ্ছে।
যদি পিএমএলএন ও পিপিপি প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তে দ্বন্দে জড়ায়, এমন অবস্থায় তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিকে। যাদের নেতা ইমরান খান। ফলে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য খুলে যেতে পারে নতুন দরজা।
চাইলেই পিপিপি বা পিএমএল-এনের সঙ্গে জোট গঠন করে সরকারে আসতে পারবেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তখন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানকে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ পাকিস্তানের রাজনীতিতে কোনো কিছুই অনুমান নির্ভর নয়। যেকোনো কিছুই ঘটেছে অতীতের ইতিহাসেও।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর