দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা। উপজেলা সদরের কয়েকটি স্পটকে ব্যতিক্রম ভাবে নতুন রুপ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করায় যেন ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে।
সৃজনশীল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল উদ্যোগ নিয়ে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ভূমি অফিসের সামনে শনি হাওর পয়েন্ট, শনি হাওর ঘেঁষা মুক্ত মঞ্চ, রেস্ট হাউজ (রক্তি) ও থানার সামনে (বৌলাই নদী ঘেঁষে বৌলাই নদী পয়েন্ট) সহ কয়েকটি স্পটকে নতুন রুপ দিয়ে দৃষ্টি নন্দন করে তৈরি করায় টাংগুয়া হাওর, শিমুল বাগান, শহিদ সিরাজ লেক, যাদুকাটা, বারেকটিলায় বেড়াতে আসা দেশ বিদেশি পর্যটকসহ সবাই এসব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন রাসেল।
এছাড়াও জেলা শহর থেকে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ মুখে ও শেষ সীমান্তে পর্যটকসহ আগতদের স্বাগত জানাতে দৃষ্টিনন্দন গেটের নির্মাণ কাজ চালছে। এছাড়া ও আরো কয়েকটি স্পট চিহ্নিত করে দৃষ্টিনন্দন করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে আরও জানাজায়, এছাড়াও জর্জরিত থাকা উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তর ও প্রত্যন্ত এলাকায় সড়ক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী অফিস কক্ষের উন্নয়ন, উপজেলায় প্রাপ্ত আলোর ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন ইউএনও সালমা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খানের সহযোগিতায় সার্ভিক চিত্র পাল্টে যাওয়ার ফলে আগত পর্যটকসহ সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামি লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান খেলু জানান, সদরে দৃষ্টি নন্দনের কাজ বাস্তবায়ন করায় উপজেলা সদরের চিত্রটাই পাল্টে গেছে।
রাজধানী ঢাকা থেকে তাহিরপুরে আসা পর্যটক জাহিদ হোসেন বলেন, রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরে প্রবেশ করেই দৃষ্টি নন্দন চিত্র গুলো দেখে দীর্ঘ সময় ভ্রমণের ক্লান্তিটা ভুলে যাওয়ার মত আর যে কারোরই কিছু সময় বসায় ইচ্ছে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানান, চেষ্টা করেছি ভালো কিছু উপহার দেবার উপজেলাবাসীসহ দেশ বিদেশি আগত পর্যটকদের।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, জেলার মধ্যে সবার সেরা পর্যটনসহ বিভিন্ন কারণে তাহিরপুর। তাই সবার সেরা তাহিরপুর যেতে হবে বহু দুর এই শ্লোগানটি আমিই তুলেছি। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নিয়ে উপজেলাকে দৃষ্টি নন্দন ও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছি দীর্ঘ ৫টি বছর ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় আগত পর্যটকসহ সকল স্তরের মানুষ উপজেলা সদরে প্রবেশ করে মনের প্রশান্তি পায় তার সবোচ্ছ চেষ্টা করেছি। সবার সহযোগিতা ও সমর্থন পেলে আমি আরও ভাল কিছু উপহার দিতে পারব সবাইকে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর