![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আলু চাষ করে আলু চাষীদের চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আলু চাষে খরচ বেড়ে যাওয়া, প্রতিকূল আবহাওয়া আর পচন রোগের কারণে ফলন কম পাওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা। গত বছর আলুর দাম বেশি হওয়ায় এবার কৃষকরা লাভের আশায় বেশি করে আলু চাষ করেছিল। ফলন কম হওয়াতে লাভের জায়গায় লসের হিসাব গুনছে আলু চাষীরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাজনা আদায় করায় কমদামে আলু বিক্রয়য়ের অভিযোগ তুলেছে কৃষকরা।
কৃষি সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলায় এবার ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে শেরপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৭শ হেক্টর। গড়ে প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ৬৯%।
সরে জমিতে গিয়ে আয়রা, উচড়ং, কেল্লা, বনমরিচা ও বোডেরহাটের কৃষকরা জানান, গত বছর আলু চাষে লাভ হওয়ায় কৃষকরা এবার বেশি আলু চাষ করেছে। আবহাওয়া ও লেট ব্রাইট ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াতে ফলন কম। আলু চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। গত বছর ১ বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা খচর করে ১২০ মন থেকে ১২৫ আলুর উৎপাদন ছিল। এবার বিঘা প্রতি ৫৫-৬০ হাজার টাকা খচর করে ৮০ থেকে ৮৫ মন ফলন হয়েছে। এতে আমাদের প্রতি বিঘাতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। বর্তমানে কৃষকরা প্রতি কেজি আলু বিক্রয় করছে ১৮ থেকে ২০ টাকা।
আলু চাষি মোসলেম জানান, আমি ৪০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। শুরুতে বৃষ্টি এবং লেট ব্রাইট ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াতে ঘন ঘন কীটনাশক দেওয়া হয়েছে এতে খরচ বেশি হয়েছে। তাছাড়াও বীজ, সার, লেবার সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি ৫৮ থেকে ৬০ হাজার টাকা খচর হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে আলুর ফলন হয়েছে গড়ে ৬৫ মন। এতে আমার ৭ হাজার টাকার মত লস গুনতে হচ্ছে বিঘা প্রতি।
কৃষক আইয়ুব আলী, মজনু অভিযোগ করে বলেন, আমরা হাটে আলু বিক্রয় না করে খচর কমনানো জন্য বাড়িতে বিক্রয় করছি। কিন্তু বাড়ি বাড়ি এসে প্রথমে ৩ হাজার টাকা খাজনা নিত, এখন ১ হাজার ৫শ করে খাজনা নেওয়াতে ব্যাপারীরা আলু ক্রয় করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে। কৃষকদের নিকট থেকে কম দামে আলু ক্রয় করছেন। কথায় আছে মরার উপর খড়ার ঘা।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার বলেন, আমরা সবসময় আলু চাষীদের সাথে যোগাযোগ করেছি, তাদের পরামর্শ দিয়েছি। এবার আলুর ফলন তুলনামূলক কম। আলু রোপণের পর বৃষ্টিতে ভেজেনি এমন জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর দামও ভালো হওয়ায় কিছুটা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারছেন বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
সর্বশেষ খবর
কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর