আবারও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১২৯ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধ করা হয়েছে। মূলত, এই কারণেই বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আকুর বিল পরিশোধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। গত ৬ মার্চ যা ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
সেসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আকুর দায় নিষ্পত্তির পর যা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। বর্তমানে যার সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
সদস্যভুক্ত এসব দেশ থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলোর বিল ২ মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।অন্য দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ডলার-টাকা পাল্টাপাল্টি করতে পারছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়মের আওতায় সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাচ্ছে।
এ পদ্ধতি চালুর পর বেশ কিছু তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় শত কোটি ডলার জমা দিয়েছে। বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে। সেই সঙ্গে বিদায়ী ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছিল।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর