দেশে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে মাধ্যমিকপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পেছনে পরিবারের ব্যয় বেড়েছে ৫১ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষার্থীপ্রতি পড়াশোনার খরচ বেড়েছে ২৫ শতাংশ। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একটি গবেষণার ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের আট বিভাগের ১৬টি জেলার ২৬টি উপজেলা ও ৫টি সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের পর বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযানের ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা: মহামারি উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এডুকেশন ওয়াচ–২০২৩ নামের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিকে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য বছরে গড়ে ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা খরচ হয়।
তবে শহরের তুলনায় গ্রামে খরচ কিছুটা কম। শিক্ষার্থীপ্রতি গ্রামে পরিবারের বছরে খরচ হয় গড়ে ১০ হাজার ৬৩৭ টাকা। যেখানে শহরে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীপ্রতি ১৮ হাজার ১৩২ টাকা খরচ হয়। এই হিসাবে ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে এই খরচ ২৫ শতাংশ বা ৮ হাজার ৬৪৭ টাকা বেড়েছে। এই ব্যয়ের বড় কারণ কোচিং–প্রাইভেট ও নোট গাইড।
বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলিয়ে মোট ৭ হাজার ২২৫ জনের কাছ থেকে নেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তুলনামূলক উপাত্তের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি অভিভাবকদের বছরে গড়ে ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা খরচ হয়। এরমধ্যে গ্রামে ২২ হাজার ৯০৯ ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬৬২ টাকা ব্যয় হয়। এই হিসাবে গত বছরের প্রথম ছয় মাসে শিক্ষার্থীপ্রতি খরচ বেড়েছে অন্তত ২০ হাজার ৭১২ টাকা বা ৫১ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, বাড়তি খরচের বড় একটি অংশই টিউশনি বা কোচিং সেন্টারে চলে যায়। এছাড়া গাইড বইসহ সহায়ক বিভিন্ন সামগ্রী, যাতায়াত, খাবার, শিক্ষা উপকরণসহ (বই, খাতা, কলম) স্কুলের বিভিন্ন ফি ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে অন্যান্য খরচ হয়।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর