• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১ ঘন্টা পূর্বে
শাহাদুল ইসলাম সাজু
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:০২ রাত
bd24live style=
টেন্ডার মোতাবেক কাজ হয়নি

নবনির্মিত জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি: প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে নবনির্মিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণে শিডিউল মোতাবেক কাজ না করার অভিযোগ পাওয়া গেলেও ভবন বুঝে নেওয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আকতার জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ১৬ টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয় ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল। কাজটি পায় চট্টগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্মাণ ব্যয় চুক্তি করা হয় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। ৫ তলা ফাউন্ডেশনে ৩ তলা বিশিষ্ট জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নবনির্মিত অফিস ভবনটি বুঝে নেওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্য কমিটি গঠন করে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক রোজী খন্দকার, সদস্য সচিব জয়পুরহাট পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেন ও সদস্য হচ্ছেন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ। টেন্ডার অনুযায়ী ভবনটি বুঝে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কমিটির সদস্যরা গত ৩ মার্চ জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন বুঝে নেওয়ার জন্য গেলে সিডিউলের সঙ্গে বেশ কিছু অমিল দেখতে পান।

এ অবস্থায় সিডিউলের সঙ্গে অমিল পাওয়া গেছে এমন ৬ দফা উল্লেখ পূর্ব কমিটির পক্ষে আহ্বায়ক রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক রোজী খন্দকার স্বাক্ষরিত একটি পত্র প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক বরাবর ১১ মার্চ পাঠানো হয়। পর্যবেক্ষণে সিডিউলের সঙ্গে অমিল পাওয়া ৬ দফা কাজের মধ্যে রয়েছে ভবনের মেইন গেট এস এস পাইপ দিয়ে করার কথা সিডিউলে থাকলেও এক ইঞ্চি এম এস এঙ্গেল বক্স দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যা সিডিউলে নেই। সিডি উলে আলাদাভাবে পাম্প হাউজ করার কথা থাকলেও ওয়াটার রি জার ভারের উপর পাম্প হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। শিডিউল মোতাবেক সেলিং পার্টিক্যাল বোর্ড ২১৫ স্কয়ার মিটার, ১২ মি. মি. পুরুত্বের বার্মাটিক (বিটি) ভিনিয়ার্ড বোর্ড ও ওয়ালিং ১৫৮ দশমিক ৮৭০ স্কয়ার মিটার দেওয়ার কথা থাকলেও তার পরিবর্তে ১৬ স্কয়ার মিটার সেলিং পার্টিক্যাল বোর্ড ও ৩২ স্কয়ার মিটার ওয়ালিং স্থাপন করা হয়েছে। শিডিউল মোতাবেক সিঁড়ি ও আবাসিক কোয়ার্টারের জন্য বারান্দায় ১০ মি.মি. টেম্পার্ড গøাস দিয়ে রেলিং তৈরির চুক্তি থাকলেও টেম্পার্ড গ্লাসের পরিবর্তে এস এস পাইপ দিয়ে রেলিং স্থাপন করা হয়েছে।

ড্রেনেজ সিস্টেমে সারফেস ড্রেইন ৬২ দশমিক ৪৮০ মিটার, এপ্রিাস সারফেস ড্রেইন ১০১ দশমিক ৪৯০ মিটার টেন্ডারে থাকলেও বাস্তবে ৬০ ফুট সারফেস ড্রেইন করা হয়েছে। বাকী ৪০ ফুট ৬ ইঞ্চি ডায়ার পিভিসি পাইপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যা শিডিউল অনুযায়ী করা হয়নি মর্মে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও রয়েছে বাউন্ডারি ওয়ালের স্টিল গ্রিল ফেন্সিং টেন্ডার মোতাবেক হয়নি মর্মে উল্লেখ করে প্রধান কার্যালয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে পাঠানো হয়। সিডিউলের সঙ্গে কাজের অমিল থাকার বিষয়ে কথা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল হান্নান মিঠুর সাথে। শিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে মর্মে দাবি করেন তিনি। ভবন নির্মাণে সিডিউলের সাথে অমিলের ব্যাপারে কথা হয় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আকতারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগামী রোববার ভবনটি পাসপোর্ট অফিসকে বুঝে দেওয়া হবে। আবার বলেন আগামী বৃহস্পতিবারও বুঝে দেওয়া হতে পারে।

৪ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি ভবন হস্তান্তরে এতো তাড়াহুড়ো কেন জবাবে নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আকতার বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাই উপর থেকে চাপ আছে। সিডিউলের মধ্যে কাজ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন পাসপোর্ট অফিসের লোকজন নির্মাণ কাজের কি বোঝে! জিনিসপত্রে দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সুষ্ঠুভাবে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কিন্তু অদৃশ্য কারণে শিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পাদন না করে ভবন বুঝে নিতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী গণপূর্ত বিভাগ কাজ বুঝে নেওয়ার পর পাসপোর্ট অফিসকে হস্তান্তর করবে। এখন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ’বিড়ালের চার ঘণ্টা বাঁধবে কে! কাজের অমিল পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শিহাব উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত আরও একটি পত্র প্রদান করা হয় ভবনটি বুঝে নেওয়ার জন্য। যেখানে অমিল পাওয়া পর্যবেক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্য-ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক শিডিউল অনুযায়ী ভবনটি বুঝে নেওয়ার জন্য বলা হলেও পর্যবেক্ষণে পাওয়া অমিল গুলো ব্যাপারে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক ও ভবন বুঝে নেওয়া কমিটির সদস্য সচিব এ কে এম মোতাহার হোসেন বলেন, বেশ কিছু কাজ শিডিউল মোতাবেক না পাওয়ায় পর্যবেক্ষণ সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী কাজ না হলে সইে ভবন বুঝে নেওয়া যায় না। তার দায় দায়িত্ব কে নিবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ [email protected]