কক্সবাজারে রামু উপজেলার গর্জনিয়ায় মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা গরু পাচারকারি চক্রের সদস্যদের সঙ্গে ডাকাতদলের সদস্যদের গোলাগুলিতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল নাই ম্ম্যারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। ঘটনায় আহত মনির আহমদ গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার মৃত আলী মদনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে আবু তাহের দেওয়ান জানান, রামু উপজেলার গর্জনিয়া সীমান্তে মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু পাচারে কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের নাই ম্ম্যারঘোনা এবং জোয়ারিয়ারনালা ইউনিয়নের মালাপাড়া সেগুন বাগানের মধ্যবর্তী এলাকায় জনৈক ডাকাত শাহীনের নেতৃত্বাধীন চক্রের সদস্যরা গরুর একটি চালান পার করছিল। এসময় গরুর চালান পারাপারে নিয়োজিত শ্রমিকরা (গরু টানা পার্টি ) স্থানীয় একটি ডাকাতদলের কবলে পড়ে।
এতে ডাকাতদলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে গরুগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পাচারকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রতিপক্ষের গুলিতে গরু পাচারে জড়িত এক শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত ও একজন আহত হয়েছে। পরে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাতদল শাহীন বাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালান গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে সেখানে গরু চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা শাকিল আদনান ও তারেক মিশুসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে গরুর চালানগুলো হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে গরুগুলো কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়।
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান আবু তাহের দেওয়ান।
তিনি জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
সর্বশেষ খবর