জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একমাত্র হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। এ হলের ক্যান্টিনের খাবারের মান নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাবারের সঙ্গে হাতের আঙটি, মাছি, তেলাপোকা পাওয়ারও নজির রয়েছে। সর্বশেষ আজ বুধবার হলের খাবারে মাছি তেলাপোকা পেয়েছেন ছাত্রীরা।
নাম গোপন রাখার শর্তে ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, গত একমাস ধরে হলের খাবারের মান খুবই খারাপ। বারবার অভিযোগ দিয়েও সুরাহা হয়নি। আজ দুপুরে খাওয়ার সময় তরকারিতে তেলাপোকা এবং মাছি পেয়েছি। ক্যান্টিনে খাবার ঢাকা থাকেনা। যারা খাবার পরিবেশন করেন তারাও কোনো সেইফটি ব্যবহার করেন না। হলের দায়িত্বরত ম্যামকেও পাওয়া যায়না।
জানা যায়, হলের এক প্লেট ভাতের দাম দশ টাকা, মুরগি ও মাছের দাম ৩৫ টাকা, গিলা-কলজা ও খাসির মাথার মুগডালের দাম ৪০ টাকা, ভর্তা ও সবজির দাম ১০ টাকা। শিক্ষার্থীদের দাবি হলে একবেলা খেতে শিক্ষার্থীদের খরচ হয় কমপক্ষে ৬০ টাকা, সেই হিসেবে খাবারের মান নিম্নমানের।
মাস্টার্সের অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি দুই দিন নিজে রান্না করতে পারিনি, হলের খাবার খেয়েছি। পরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাছে কেমিক্যালের গন্ধ পাওয়া যায়, তরকারিতে হলুদের গন্ধ থাকে। এছাড়াও খাবারে হাতের আংটি, তেলাপোকা, অন্যান্য পোকা পাওয়া যায়। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, হলে খাবার খেতে প্রায় ৬০ টাকার মতো খরচ হয়। হলে যদি এতো দাম তার উপর খাবারের মান ভালো হলে হতো। যদি এত টাকা দিয়ে খেতে হয় তাহলে তো বাইরে খাওয়াই ভালো।
এ বিষয়ে হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার রুবেল বলেন, মাছি বা পোকা উড়ে গিয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। খাবারের মান যথেষ্ট ভালো।
ক্যান্টিন কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা বলেন, আজ খাবারে মাছি পাওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ ছাত্রীরা করেনি। এমনটা হওয়ার কথা না। আমরা রেগুলার এটা দেখভাল করি।
অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার পরিবেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা খাবার পরিবেশন করেন তারা হয়ত গ্লাভস পরেন না। এ বিষয়টি আমরা দেখব।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর