![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে তেহরান ও মাশহাদের রাস্তায় জমায়েত হন অনেকেই। তাদের মাঝে কেউ কেউ রীতিমতো উৎসবে মেতে ওঠেন রাইসির দুর্ঘটনার খবরে। কিছু কিছু এলাকায় এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ইরানের সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগেই উৎসব দেখা যায়। তাদের বেশ কয়েকজন প্রতিবেদক সেসব ভিডিও হাতে পেয়েছেন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তেহরানের এক ব্যক্তি বলছেন, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সুখবরটি আসুন উদ্যাপন করি।’
এসব উৎসব বন্ধ করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সদস্যরা।
এই উৎসবের কারণ জানাতে গিয়ে ইসরায়েল ও ইরানের সাংবাদিক, বিশ্লেষক জোনাথন হ্যারনওফ ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘একজন সংরক্ষণশীল নেতা ছিলেন রাইসি। এর পাশাপাশি বর্বর বিচার ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমেই তিনি নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছেন। হাজারো বন্দীর প্রাণ গেছে তার হাতে। আর এ কারণেই তাকে তেহরানের কসাই ডাকা হয়।’
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া কে এই মোহাম্মদ মোখবার?ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া কে এই মোহাম্মদ মোখবার?
কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি নিহতের ঘটনা মনে করিয়ে দেন বেশ কয়েকজন নারী মানবাধিকারকর্মী। এ কারণে তারা আজকের দিনটিকে ‘বিশ্ব হেলিকপ্টার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এ সময় অনেককে নাচতে দেখা যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ইরানিদেরও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এর মধ্যে লন্ডনের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়া ইরান সরকারের রোষাণলে পড়ে যারা দেশ ছেড়েছেন, তারা উল্লাস করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ইব্রাহিম রাইসি ইরানের একজন ধর্মীয় ‘কট্টরপন্থী’ নেতা ছিলেন। ইরানে বাকস্বাধীনতাকে চূর্ণ করা এবং নারীদের জন্য কঠোর ‘হিজাব ও সতীত্ব আইন’ প্রয়োগ করার মতো পদক্ষেপ দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২২ সালে পুলিশী হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদের সূত্রপাত হয়। হিজাব না পরার কারণে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাহসা। শুধু তাই নয়, ১৯৮৮ সালে ইরানের রাজনৈতিক বন্দীদের গণফাঁসির পেছনে রাইসির ভূমিকা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এ কারণেই ‘তেহরানের কসাই’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন রাইসি।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর