
গাজীপুরে শ্রীপুরে পিকনিকের নৌকা আটকে দুর্বৃত্তের হামলায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ পাওয়া গেছে। সোমবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের খিরু নদের তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. নুরুজ্জামান (৩০) উপজেলার সোনাব গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি একজন পোলট্রি ব্যবসায়ী।
নৌকা ভ্রমণে থাকা সুমন জানান, রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০ টায় কাওরাইদের বলদীঘাট এলাকার (ক্ষিরু নদী) থেকে ৩০-৩৫ জন ব্যবসায়ী ট্রলারযোগে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভ্রমণে তাদের সাথে চার জন নৃত্য শিল্পীও ছিল। সুমন এবং তার এক বন্ধু দুপুরে ১ টার দিকে ত্রিমোহনী থেকে তাদের সাথে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে নৌকায় উঠে। দিনভর তারা ময়মনসিংহ জেলার পাগলা, গফরগাঁও ও নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল এলাকায় শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে ভ্রমণ শেষে রাত ৮টার দিকে কাওরাইদ ইউনিয়নের বটতলা (ক্ষিরু নদী) এলাকায় পৌঁছলে ১০-১৫ জন ডাকাত লোহার রড, কাঠের ব্যাট, হকিস্টিক ও লাঠি সোঠা নিয়ে ট্রলারে হামলা করে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
হামলার পর তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলা ও মারধরে ২০-২৫ জন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এসময় তাদের আমন্ত্রিত নৃত্য শিল্পীরাও যে যার মতো পালিয়ে যেতে পারে। নৃত্য শিল্পীদেরকে হামলাকারীরা মারধর করছে কিনা তা তিনি বলতে পারেননি। হামলাকারীদের ভয়ে ট্রলার যাত্রী নুরুজ্জামান নদীতে ঝাঁপ দিলেও সে উঠতে না পেরে নিখোঁজ হয়।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হামিদ বলেন, রবিবার সকাল ৮টার দিকে নৌকা ভ্রমণে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় ভাই (নূরুজ্জামান)। রাতে অনেকে বাড়ী ফিরে আসলেও আমার ভাই না আসায় জানতে পারি তাদের ট্রলারে ডাকাতেরা হামলা করেছে। সারা রাত খোঁজাখুজি করেও ভাইয়ের সন্ধান পাইনি। সকালে ক্ষিরু নদীর বটতলা এলাকায় হাঁটু বের হয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা জানান, নিহত নুরুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর