নির্বাচন কমিশনে প্রতি পঞ্জিকা বছরে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময়ে মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেওয়ার আইন থাকলেও ২৩টি রাজনৈতিক দল হিসেব জমা না দিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে।সময় বৃদ্ধি করা হবে কি হবে না তা সিদ্ধান্ত হবে কমিশন সভায় বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন,গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। সেই অনুযায়ী শেষদিন বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ২১টি রাজনৈতিক দল তাদের তাদের বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দিয়েছে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমাদের নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্য ২১টি রাজনৈতিক দল তাদের বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দিয়েছে। বাকি ২৩ দল সময় চেয়ে আবেদন করেছে।

যারা হিসেব জমা না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে এই বিষয়ে ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী যে-সব রাজনৈতিকদল শেষ দিনে বার্ষিক বার্ষিক হিসেব জমা দেয়নি তারা প্রত্যেকে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আমরা বিষয়টি কমিশন সভায় ওঠাবো কমিশন সময় বাড়াবে কি বাড়াবেনা তা সিদ্ধান্ত নিবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

যে দলগুলো আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দিয়েছে:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, গণতন্ত্রী পার্টি, খেলাপত মজলিশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ খেলাপত মজলিশ, জাতীয় পার্টি (জেপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাঙ্গালদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাপত আন্দোলন, ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।

হিসেব জমা দিয়ে যারা সময়ের আবেদন করেছে:

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বিএনএপ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি, বাসদ, গণফ্রন্ট, গণফোরাম, বাঙ্গালদেশ মুসলীমলীগ, ওয়াকার্স পার্টি, জাসদ,বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, কল্যাণ পার্টি, বিএনএম,কৃষক শ্রমিক জনতালীগ।

সালাউদ্দিন/সাএ