
শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরসভার কার্যালয়ে গত ৫ জুলাই শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দুর্বৃত্তদের হামলা-ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পৌরসভা কার্যালয়। হামলার সময় লুটপাট হয়ে গেছে পৌরসভার প্রায় সকল মালামাল।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা পৌর সভার ওই ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয়টি পরিদর্শন করার পর ফের এর সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে নাগরিক সেবা পেতে শুরু করেছেন পৌরবাসীরা। প্রথম দিনে অফিস করেছেন পৌরমেয়র আবুবক্কর সিদ্দিক।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রাথমিকভাবে তালিকা করে লুট হওয়া মালামাল ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ৯০০ টাকা ধরা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পৌরসভার সব ধরনের প্রয়োজনীয় নথিপত্র পুরে ছাই হয়ে গেছে। পৌরসভা কার্যালয়ে ব্যবহৃত সকল রেজিস্ট্রার খাতা, কম্পিউটার, মনিটার, আইপিএস, ফ্যান, চেয়ার-টেবিল, আলমারি থেকে শুরু করে সকল প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় পৌর কার্যালয়ে থাকা ৩ টি গার্বেজ ট্রাক ও রোড রুলারে।
অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স ও টিকা কার্যক্রমসহ ১২টি শাখার সকল নাগরিকসেবা চালু করা হয়েছে। সচল রয়েছে পানি ও বিদ্যুৎ শাখার কার্যক্রম। পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। এতে পৌরবাসীরা নাগরিক সেবা পেতে শুরু করেছেন।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হক বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, নালিতাবাড়ী পৌরসভা থেকে লুট করা মালামাল ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ যারা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর