
রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শন করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদসহ একাধিক পরিচালক। একপর্যায়ে নতুন সভাপতি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মাঠের কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে স্টেডিয়ামের নাম ও পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেন, ‘এখন আমরা এটাকে যত দ্রুত মাঠের শেপ দিতে পারি, এটা আমাদের একটা প্রায়োরিটি। তার মানে যে স্টেডিয়ামগুলো সংস্কার করার কথা ছিল, (তার সঙ্গে) এটাও যুক্ত হবে। আমরা সব ধাপে ধাপে করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে দুটো মাঠের অনুমতি ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে হয়তো এত বড় বাজেট আমরা প্রদান করতে পারব না। সেজন্য এখানে আমরা প্রথম একটা মাঠ দিয়ে কাজ শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা (নির্মাণ) চেষ্টা করব আর কি। আপনারা শিগগিরই দেখতে পারবেন যে মাঠের কাজ শুরু করব।’
এ সময় প্রশ্ন উঠে স্টেডিয়ামটির নাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকবে কি না। জবাবে ফারুক বলেন, ‘এটা ক্রিকেট বোর্ডে...আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আছে। সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত হবে।’
স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী আগেই নিয়োগ দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান পপুলাসকে। তাদের পরামর্শেই মাঠের নির্মাণ কাজ হবে কি না সে প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘আমাদের তো অলরেডি একটা পরামর্শে বিনিয়োগ হয়ে গেছে। ওটাকে ধরে, বড় কোনো পরিবর্তন না করে (কাজ শুরু হবে), কেননা আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না। প্রথমত মাঠ, এরপর ড্রেসিংরুম তৈরি করবেন। ওদের যে পরিকল্পনা ছিল (সে অনুযায়ী করার) চেষ্টা করব। ওদের যে প্ল্যান ছিল আমি দেখিনি। সেজন্য আসলে কথাটা বলা ঠিক হবে না। তারপরও যতটুকু সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যায়, ওই পরামর্শ অনুযায়ী মাঠটা করব।’
আগের প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামটি নৌকার আকৃতিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নাজমুল হাসানের বোর্ড। তবে সে আকৃতি যে থাকছে না সে ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি ফারুকের বক্তব্য, ‘মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নাই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব।’
নতুন করে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বোর্ড সভাও করেছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এরপর আজ পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, নাজমুল আবেদিন ফাহিম এবং বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনকে নিয়ে গিয়েছেন পূর্বাচলে। এর আগে প্রথম বোর্ড সভায় স্টেডিয়াম নির্মাণকাজের পূর্বের দরপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর