
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে বিএনপি নেতা, ছাত্রদল নেতা, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ সহ ৮ জন সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বুড়িচং প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর গুলি ও হামলা করায় এবং ২০২৩ সালে বুড়িচং মোকাম ইউনিয়ন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন হত্যার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলায় বুড়িচংয়ের ছাত্রদল নেতা তানভীর, সাইফুল সহ ৮ জন সাধারণ লোককে ব্যক্তি আক্রোশ থেকে মামলায় জড়ানো হয় বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। আমি দীর্ঘদিন বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইকবাল ভূইয়ার নেতৃত্ব ছাত্রদলের রাজনীতি করছি। এবং তার নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরকার পতনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু মিজান চেয়ারম্যানের অনুসারী ছাত্রদল নেতা সাইফ উদ্দিন সবুজের সাথে আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা থাকায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর মিজান চেয়ারম্যানের অনুসারী আব্দুল আউয়াল রবিন বাদী হয়ে বুড়িচং থানার একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে ৬০ নাম্বার আসামি করেন। রাত ১১ টায় সাইফ উদ্দিন সবুজ ও সুমন মাস্টার একটি ছেলে দিয়ে আমাকে বাড়ির সামনে ডাক দিয়ে নিয়ে আমাকে মামলার এজাহার দেখিয়ে আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় তারা বলে টাকা দিলে তারা মামলা থেকে নাম কেটে দিবে। আমি টাকা না দেওয়াতে ৯ সেপ্টেম্বর সাইফ উদ্দিন সবুজের অনুসারী মো. মাহফুজ বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করে। সেই মামলায়ও আমাকে ৬৩ নাম্বার আসামি করা হয়। কিন্তু আমি একজন বিএনপি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা বুড়িচং সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখলাক হায়দারের সাথে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক। একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি তার সাথে ছবি তুলি। সেই ছবিকে পুঁজি করে তারা আজকে আমাকে বিতর্ক করছে। আমি দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে এই কর্মকাণ্ডের জন্য বিচার চাই। আমি এ ধরনের মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এ মামলা থেকে নিঃশর্ত পরিত্রাণ চাই।
ছাত্রদল নেতা তানভীর বলেন, আমি বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আমি দীর্ঘদিন বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইকবাল ভূইয়ার নেতৃত্ব ছাত্রদলের রাজনীতি করছি। এবং তার নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরকার পতনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু মিজান চেয়ারম্যানের অনুসারী ছাত্রদল নেতা সাইফ উদ্দিন সবুজের সাথে আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা থাকায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর মিজান চেয়ারম্যানের অনুসারী আব্দুল আউয়াল রবিন বাদী হয়ে বুড়িচং থানার একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি করেন। রাত ১১ টায় সাইফ উদ্দিন সবুজ ও সুমন মাস্টার একটি ছেলে দিয়ে আমাকে বাড়ির সামনে ডাক দিয়ে নিয়ে আমাকে মামলার এজাহার দেখিয়ে আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় তারা বলে টাকা দিলে তারা মামলা থেকে নাম কেটে দিবে। আমি টাকা না দেওয়াতে ৯ সেপ্টেম্বর সাইফ উদ্দিন সবুজের অনুসারী মো. মাহফুজ বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করে। সেই মামলায়ও আমাকে আসামি করা হয়। আমি দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে এই কর্মকাণ্ডের জন্য বিচার চাই। আমি এ ধরনের মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন , ময়নাল হোসেন (শিক্ষক), বিএনপি নেতা রেয়াজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, হাজী আব্দুল মালেক, জসীম উদ্দিন প্রমুখ।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর