
চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক যুবককে। তার নাম মো. মামুন (৩০)। সে জেলা সদরের ৬ নং পৌর ওয়ার্ডের মধ্য শালবাগান এলাকার মৃত নুর নবীর ছেলে। তার স্ত্রী, দুটি সন্তান ও তার মা রয়েছে। সে যুবদলের সমর্থক ছিল বলে জানিয়েছে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে নিউজল্যান্ড এলাকার নোয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, 'মামুন শালবাগান নিজ এলাকায় কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। আগে মামুনের নামে কিছু অভিযোগ থাকলে বর্তমানে সে ব্যবসায় মনোযোগী। চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'
এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মামুনকে পিটিয়ে হাত বাধার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায় মামুন 'ওমা ওমাগো' বলে চিৎকার করছেন। এ সময় পাশ থেকে একজন হত্যাকারী তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন এবং তার গায়ে আঘাত করছেন।' এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে জেলা জুড়ে।
ড্রাইভার মো. শাকিল বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে আমাকে কল করে বলা হয় যে হাসপাতালে একটা মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যেতে হবে আপনি একটু আসেন। আমি গিয়ে মামুনকে চিনতে পারি। এ সময় তার পাশে ৩ জন মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। কোন পুরুষকে দেখতে না পেয়ে আমি গাড়ি নিয়ে চলে আসি এবং অন্যদের খবর দেই।' মামুনের মামা মো. নূর হোসেন বলেন, 'সকালে তাকে মুঠোফোনে কল দিয়ে জানানো হয়েছে মামুন হাতপা বাঁধা অবস্থায় পরে রয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।'
৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, 'মামুন চুরির সাথে জড়িত ছিল না। সে যুবদলের একজন সমর্থক। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে খুবই নিরীহ ছেলে। আমরা তার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।'
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, 'হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে মরদেহের বিষয়টি আমাকে জানালে পুলিশ সেখানে যায়। আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর