
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন দুর্বৃত্তদের হামলায় নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের ৬৯ কার্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে বলেছে জানিয়েছে সংস্থাটি এছাড়া মারধরের শিকার ও আতংকিত হয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে হাত ভেংগে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের পর নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের ক্ষতি নিরুপণে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে বিষটি উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ৬৯টি অফিসকে ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনায় ৩(তিন) ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ক্যাটাগরী-১ (অধিক ক্ষতিগ্রস্থ), ক্যাটাগরী-২ (মোটামুটি ক্ষতিগ্রস্থ), ক্যাটাগরী-৩ (কম ক্ষতিগ্রস্থ)।আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ অফিসসমূহে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা জরুরি ভিত্তিতে চালুর জন্য আইডিইএ-২( স্মার্টকার্ড প্রকল্প) থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিকনির্বাচন কর্মকর্তাগণ ক্ষয়-ক্ষতির ধরণ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর (গণপূর্ত বিভাগ, এলজিইডি, বিআরটিএ ইত্যাদি) হতে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক, জেলা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক প্রাক্কলন সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,৬৯টি কার্যালয়ের মধ্যে ক্যাটাগরী-১ (অধিক ক্ষতিগ্রস্থ) তালিকাভুক্ত মোট ১০ (দশ)টি অফিস এবং ক্যাটাগরী-২ (মোটামুটি ক্ষতিগ্রস্থ) তালিকাভুক্ত মোট ১৭ (সতের)টি অফিসের সংশ্লিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন/প্রাক্কলন/চাহিদা প্রাপ্তির পর যৌক্তিকতা বিবেচনায় বাজেট অধিশাখা হতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ক্যাটাগরী-৩ (কম ক্ষতিগ্রস্থ) এ তালিকাভুক্ত মোট ৪২ (বিয়াল্লিশ)টি অফিসের নিয়মিত আনুষংগিক বরাদ্দ হতে মেরামত/সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
অধিক ক্ষতিগ্রস্থ কার্যালয়গুলো হলো- রংপুরের মিঠাপুকুর, বগুড়ার দুপচাচিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলা, সিরাজগঞ্জ উপজেলা, শেরপুর জেলা ও উপজেলা, কুমিল্লার চান্দিনা, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, সিলেটের আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়।
এইসব কার্যালয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফটোকপিয়ার, ইউপিএস, আইপিএস, টেন ফিঙ্গার স্ক্যানার, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, আইরিশ স্ক্যানার, বারকোড স্ক্যানার, লেমিনিটিং মেশিন, প্রোজেক্টর, এসি, ক্যামেরা, সিগনেচার প্যাড, সিসি ক্যামেরা, টেবিল, চেয়ার, সোফা, টেলিফোন, পানির ট্যাংক, স্মার্ট কার্ড রিডার, ট্যাব, ডকুমেন্ট স্ক্যানার, মূল সার্ভার, প্রিন্টার, রাউটার, অফিসিয়াল সিম ও মডেম, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, রক্ষিত ফরম-২, ফরম-১২ ও ফরম-১৩, ভোটার তালিকা, আলমিরা, অফিসের সকল ফাইল, সার্ভিস বহি, সকর প্রকার রেজিস্টার, ক্যাশ বহি, ব্যাংকের চেক বহি ও বিল ভাউচার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, সার্ভার র্যাক, র্যাক, লাইট, পানির ফিল্টার, ফ্যান, অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নির্বাচনী বস্তা, মূল্যবান বই পুস্তকসহ অনান্য সকল সরঞ্জামাদি ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। কোথাও কোথাও পুরো ভবনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মোটামুটি ক্ষতিগ্রস্থ বা ক্যটাগরি-২ ভুক্ত কার্যালয়গুলো হলো- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়া সদর উপজেলা, চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলা, খুলনার কেশবপুর ও ফুলতলা, মাগুরার মুহম্মদপুর, বরিশাল জেলা, পিরোজপুরের নেছারাবাদ, মাদারীপুরের শিবচর, ঢাকার দোহার, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, জামালপুরের বকশিগঞ্জ, নেত্রকোণার জেলা নির্বাচন অফিস, নোয়াখালীর জেলা ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস। এইসব কার্যালয়ে হলরুমসহ বিভিন্ন জায়গায় আগ্নি সংযোগ, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা অন্যান্য
নির্বাচনী মালামাল স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের সিল লক, অমোচনীয় কালির কলম, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ষ্ট্যাম্প প্যাড, ষ্ট্যাম্প প্যাডের কালি (বোতল), গালা প্যাকেট, পিতলের সিলমোহর, চটের থলি (বস্তা), বল পয়েন্ট কলম, বিভিন্ন ধরণের প্যাকেট, ফরমসমূহ, দেওয়ালপত্র এবং মনিহারী সামগ্রী পুড়ে যায়।
এছাড়া গাড়িতে অগ্নি সংযোগ, গেটসহ অফিসের লাইটিং বোর্ড, অধিকাংশ জানালা, এনআইডি সার্ভার রুম, দর্শনার্থীদের বসার স্থান ও নামাজের স্থান, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়।
অবশিষ্ট কম ক্ষতিগ্রস্থ ৪২ টি কার্যালয়ে দুই একটি জানালা, দরজা, গেট, প্রভৃতি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচী চলাকালীন দেশের সকল মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে দুস্কৃতিকারীরা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।এছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফটোকপিয়ার, ইউপিএস, আইপিএস, টেন ফিঙ্গার স্ক্যানার, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, আইরিশ স্ক্যানার, বারকোড স্ক্যানার, লেমিনিটিং মেশিন, প্রোজেক্টর, এসি, ক্যামেরা, সিগনেচার প্যাড, সিসি ক্যামেরা, টেবিল, চেয়ার, সোফা, টেলিফোন, পানির ট্যাংক, স্মার্ট কার্ড রিডার, ট্যাব, ডকুমেন্ট স্ক্যানার, মূল সার্ভার, প্রিন্টার, রাউটার, অফিসিয়াল সিম ও মডেম, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, রক্ষিত ফরম-২, ফরম-১২ ও ফরম-১৩, ভোটার তালিকা, আলমিরা, অফিসের সকল ফাইল, সার্ভিস বহি, সকর প্রকার রেজিস্টার, ক্যাশ বহি, ব্যাংকের চেক বহি ও বিল ভাউচার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, সার্ভার র্যাক, র্যাক, লাইট, পানির ফিল্টার, ফ্যান, অবিতরণকৃত স্মার্টকার্ড, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নির্বাচনী বস্তা, মূল্যবান বই পুস্তকসহ অনান্য সকল সরঞ্জামাদি ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে নাগরিকদের সেবা প্রদানে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর