
প্লেয়ার্স ড্রাফটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের রোমাঞ্চ। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় ড্রাফটের কার্যক্রম। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই ড্রাফটে পন্দের ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
এবারের ড্রাফটে মোট ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে। তাদেরকে ভাগ করা হয়েছিল পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। আর ১৮৮ জন স্থানীয় খেলোয়াড়কে ভাগ করা হয়েছিল ৬ ক্যাটাগরিতে। শঙ্কা থাকলেও নিলামে দল পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজার মতো সিনিয়র ক্রিকেটার।
তবে অবাক করার মতো খবর হলো ড্রাফটে ‘অবিক্রিত’ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মুমিনুল হকের মতো ক্রিকেটাররা। এই নিয়ে টানা দুই আসরেই ড্রাফটে অবিক্রিত থেকে গেলেন মুমিনুল, প্রথমবার ড্রাফটে দল পেলেন না মোসাদ্দেক হোসেনও।
মুমিনুল-মোসাদ্দেকের মতো অবিক্রিতি সৈকত আলিও। এছাড়া জাতীয় দলে খেলা ফজলে মাহমুদ রাব্বি, নাজমুল ইসলাম অপু, আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দল না পাওয়াও বিস্ময়কর। সাদমান ইসলামও দল পাননি। মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলীকে দলে টানেনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
উপেক্ষিত থেকেছেন শামসুর রহমান, সোহাগ গাজি, ফরহাদ রেজাও। বিপিএলের সেঞ্চুরিয়ান আনিসুল ইসলাম ইমনেরও দল মেলেনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নিয়মিত পারফর্মার অমিত হাসান, টিপু সুলতান, রবিউল হকের দল মেলেনি। সুমন খানও থাকেন উপেক্ষিত।
রুবেল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, কাজী অনিক, সাকলায়েন সজিবরাও নেই কোনো দলে। আর মেডিক্যাল টিমের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় খেলা হচ্ছে না মুশফিক হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর।
যদিও এখনো সুযোগ আছে তাদের দলে ভেড়ানোর। কোনো ফ্রাঞ্চাইজি চাইলেই ভিত্তিমূল্য অনুযায়ী দলে টানতে পারে তাদের। অর্থাৎ অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই মোসাদ্দেকদের।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর