
নড়াইলের লোহাগড়ায় ইছামতি বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের ১১জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চরবালিদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- লিটন মোল্যার গ্রুপের চর-বালিদিয়া গ্রামের মৃত আমির মোল্যার ছেলে মো. রউফ (৫৮), আইন উদ্দিন মোল্যার ছেলে বশির মোল্যা (৬৫), মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে ছবেদ আলী (৬২), মধু শেখের ছেলে মো.শফিকুল (৪০), লাহুড়িয়া দিননাথপাড়া গ্রামের হাবিবর মোল্যার ছেলে মো.সুমন মিয়া (৩৫), রাজু মুন্সী গ্রুপের চরবালিদিয়া গ্রামের মৃত রফিউদ্দিন মোল্যার ছেলে মো.ইউনুস মোল্যা (৬০), খলিলুর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৮), বাবর মোল্যার ছেলে আশিক মোল্যা (২৫), মৃত এলেম শেখের ছেলে জাফর শেখ (৬৫), লাহুড়িয়া দিননাথপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর রহমানের ছেলে সজল মোল্যা (৩০), সালদা গ্রামের মৃত ইমান উদ্দিনের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪১)।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চর-বালিদিয়া গ্রামে রেজাউলের চায়ের দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর ইছামতির বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একটি গ্রæপের নেতৃত্ব দেন মৃত লুৎফর মোল্যার ছেলে লিটন মোল্যা (৪০) অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ইলিয়াস মুন্সীর ছেলে রাজু মুন্সী (৩৮)। দীর্ঘদিন যাবৎ উভয় পক্ষের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামাজিক দলাদলি বিদ্যমান আছে। গত ১০অক্টোবর ইছামতির বিলের মধ্যে রাজু মুন্সীর লোক শাহাবুর মোল্যা ভেসাল (জাল) মাছ ধরার জন্য দেন। পরবর্তীতে গত ১৭অক্টোবর ইছামতির বিলের মধ্যে লিটন গ্রুপের আলমগীর মুন্সী মাছ ধরার জন্য শাহাবুর মোল্যার ভেসালের (জাল) সামনে কারেন্ট জাল দিয়ে বাধ দেন। পরবর্তীতে রাজু মুন্সীর লোকজন নেট দিতে বাধা দেয় ও নিষেধ করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চর-বালিদিয়া গ্রামের রেজাউলের চায়ের দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর একত্রিত হয়ে উভয়পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর এর নির্দেশে নলদী পুলিশ ক্যাম্প ও লোহাগড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে নলদী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই মোরছালিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ সংঘর্ষস্থল থেকে লিটন মোল্লা গ্রুপের ৫ জন ও রাজু মুন্সী গ্রুপের ৬ জনকে গ্রেফতার করেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর