
চরফ্যাশনে আশ্রিত ৪৯টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করে খাসজমি জবর দখলে স্কুলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জমিজমা নিয়ে পারিবারিক প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাকছুদুর রহমান বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আশ্রিত ভূমিহীনদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
এই মামলা ও উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে (১১নভেম্বর) সোমবার সকাল ১০টায় আশ্রিত ভূমিহীনরা চরফ্যাশনের পশ্চিম জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় এই বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে উচ্ছেদ হুমকিতে থাকা মানুষিক প্রতিবন্ধী জাহানারা বলেছেন, আমরা ভিক্ষা করে খাই। নিজেদের জায়গা জমি নাই প্রায় ৫০ বছর ধরে খাল পাড়ের খাসজমিনে ঘর বাড়ি করে আছি। এই বাড়ি ঘর এবং খাসজমি দখল করতে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাকছুদ এই জমিকে স্কুলের জমি বলে দাবি করে নতুন করে মামলা দিয়েছে। বাবা ছেলে মিলে পারিবারিক জবরদখল বহাল রাখতে স্কুলকে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ ভূমিহীনদের।
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, স্কুলের ৫০ শতাংশ জমির দাতা সৈয়দ কামাল উদ্দিন কিন্তু স্কুলের নামে নামজারি রেকর্ড করা হয় ৬৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জমি। রেকর্ড করা অতিরিক্ত ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জমি মূলত ভূমিহীনদের বসত বাড়িসহ দখলে থাকা খাস জমি। ভূমিহীনদের জিজ্ঞাসা স্কুল কেন খাস জমি রেকর্ড করবে? দখল করবে?
পশ্চিম জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মাকছুদুর রহমানকে বিদ্যালয় গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্য জানতে বার বার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
অভিযোগ সম্পর্কে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাশেম উদ্দিন বলেছেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর