
নাটোরের সিংড়ায় সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সোহরাব হোসেনকে নারী ও বিদেশি মদসহ আটক করেছে স্থানীয়রা। ২০ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় সিংড়া থানা মোড় এলাকায় সাব রেজিস্ট্রার অফিস এর সামনে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এর বাসায় এঘটনা ঘটে।
উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সোহরাব হোসেন উপজেলার আগমুরশন গ্রামের মোঃ ফরিদুল ইসলামের ছেলে। জানা যায়, একই গ্রামের মোছা. সীমা খাতুন (৩২) পিতা মোঃ সুজাউল ইসলাম সে সিংড়া থানা মোড় এলাকায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এর (সাব- রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকত।সীমা খাতুন এর স্বামী ঢাকায় চাকুরি করতেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সুযোগ নেয় সোহরাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সোহরাব হোসেন সে প্রায় ৪ মাস যাবত সীমা খাতুনের ভাড়ার বাসায় মাঝেমধ্যে যাওয়া আসা করে ও রাত্রি যাপন করতো। বিষ টি সীমা খাতুনের ছেলে মোঃ সিফাত (৮) তার বাবা লিটনকে জানালে লিটন তার ছেলে সিফাতকে বলে এর পরে ওই লোক বাসায় আসলে তুমি বাহির হতে দরজা লাগিয়ে দিয়ে আমাকে ফোন করবে।
বুধবার সন্ধ্যায় সোহরাব হোসেন সীমার ঘরে প্রবেশ করলে তার ছেলে সিফাত বাহির হতে দরজা আটকিয়ে দিয়ে তার বাবা লিটনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের ভাড়া বাসা ঘিরে রাখে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের লোকজনের আপস মীমাংসা চেষ্টা চলছে। উক্ত ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয় নাই বলে বলে জানিয়েছে নারীর পক্ষ থেকে।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব দাবি করে বলেন, আমি ও সীমা আড়াই মাস আগে বিবাহ করেছি আমরা স্বামী-স্ত্রী এক ঘরে থাকতেই পারি, বিবাহের নিকাহ নামা ( কাবিননামা ) আছে কিনা জানতে চাইলে কোন উত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত সিমা-সোহরাব।
এদিকে সীমার আট বয়সী ছেলে সিফাত বলেন, আমার আব্বু ঢাকা থাকার কারণে সোহরাব আঙ্কেল কিছুদিন পর পর আমাদের বাসায় আসতো রাতে থাকতো আমি এইসব কথা আব্বুকে বলতে চাইলে ওরা দুজন ধরে আমাকে মারতো, আজ সুযোগ বুঝে দুজনকে রুমে আটকে দিয়ে বাসার নিচে থাকা সবাইকে নিয়ে এসে ধরিয়ে দিয়েছি।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসমাউল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি উভয় পক্ষের কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর