
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে খুনের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ ছিল চট্টগ্রামের ৭৪টি আদালতের কার্যক্রম। পাশাপাশি আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করবে জেলা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবীদের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা আদালতে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা আদালত পাড়ায় মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এর প্রতিবাদ জানালে আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় ইসকনের অনুসারীরা। একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সমিতির সিদ্ধান্তে সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজও দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতে কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা। এ কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম আদালতের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় দিনের মতো মামলার শুনানি হয় নাই।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। পরদিন (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন ইসকন অনুসারীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তারা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আইনজীবী সাইফুলকে দাফন করা হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর