
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা ও গুলির ঘটনায় ২০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় নগরীর জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারীসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর বিচারক হাসান শাহরিয়ারের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহবাদ এলাকার মো. জাকির হোসেনের ছেলে মো. শিবলী নোমান।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি গত ১৮ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। আসামিরা গত ৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট আমতল এলাকায় ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসীর যোগসাজশে দেশীয় অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড, হাত বোমা, লাঠিসোঁটা সহ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ত্রাস চালায়৷ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় আসামিরা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে আমতল শাহ আমানত মার্কেটের সামনে ৩ পোলের মাথায় ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে দূর থেকে মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে এবং হাতবোমা-ককটেল বিস্ফোরণ করে।
দুপুর ৩টা থেকে ৪টার দিকে বাদী আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন। এরপর কিছু শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে হামলা চালানো আসামিদের নাম ও ঠিকানার তথ্য সংগ্রহ করে থানায় গেলে তারা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। যার ফলে মামলা করতে বিলম্ব হয়।
চট্টগ্রাম আদালতের বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউল হক জিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শিবলী নোমান চন্দনাইশ উপজেলার যুবদলের নেতা। গত ৪ আগস্ট আন্দোলন করার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর