
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্ত্রীর লাশ ঘরে রেখে পালানো স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার হাতিখানা এলাকার মমতাজ হোসেনের ছেলে। তিনি চটপটি ও ফুচকা ব্যবসায়ী।
নিহত গৃহবধূ শবনম আক্তার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা গোয়ালপাড়া থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন তার মা ফারজানা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে শবনমের প্রেম, এরপর বিয়ে হয়। গত সোমবার দুপুরে এ দম্পতি গোয়ালপাড়া এলাকার আক্তারী বেগমের একটি কক্ষ ২ হাজার টাকায় ভাড়া নেন। গভীর রাতে পাশের ভাড়াটিয়া দু’জনের মধ্যে মারামারির শব্দ শুনতে পান।
মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূর মা ও ছোট বোন এসে ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন, খাটের ওপর লেপ দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় শবনমের মরদেহ পড়ে আছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী জাহাঙ্গীর পলাতক ছিলেন।
নিহত গৃহবধূর বোন জানান, তার দুলাভাই মোবাইলফোনে তাকে বলেন, ‘তোর বোনকে মেরে ফেলে রেখেছি। তোরা এসে লাশ নিয়ে যা...।’
সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, জাহাঙ্গীরকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর