
শেরপুরে সাইবার নিরাপত্তায় সচেতনতামুলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আইসিটি ডিভিশনের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির সহায়তায় জেলা প্রশাসন এ সেমিনারের আয়োজন করেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রযুক্তির ব্যবহার, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এনডিসি।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মোহাম্মদ রাজীব উল-আহসান, শেরপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ কমল উদ্দিন, সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক রেজাউল করিম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান, প্রেসক্লাব সভাপতি কাকন রেজা, সাংবাদিক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল প্রমুখ।
সেমিনারে বিগত সরকারের নিবর্তনমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ এর পরিবর্তে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধনের কুকির ব্যবহার এবং সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, এনজিও সংগঠক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ছাত্র ও তরুণ প্রতিনিধি সহ শতাধিক সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
নারীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ: প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ৬ মাস মেয়াদি ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের স্থানীয় পর্যায়ের এক কর্মশালা সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শেরপুর সদর উপজেলার হার পাওয়ার প্রকল্পের ১০৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা ল্যাপটপগুলো বিতরণ করেন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এনডিসি। হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী এসএসসি পাশ নারীদের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, আইটি সার্ভিস, কল সেন্টার এজেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওমেন ই-কমার্স প্রফেশনাল বিষয়ে এসব প্রশিক্ষণ প্রদান করে আইসিটি ডিভিশন।
এতে প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করে জেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম (প্রোগ্রামার) জানান, দেশের ৪৪ টি জেলার সদর উপজেলা সহ মোট তিনটি করে উপজেলা ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সহ মোট ১৩০টি উপজেলায় হার পাওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিকে নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে ৪টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে ৬ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা শেরপুর সদর উপজেলায় ২১০ জন, নালিতাবাড়ীতে ১৮৫ জন এবং শ্রীবরদীতে ১২৫ জনসহ মোট ৫৮০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর