
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে রংবেরংয়ের বাহারি ডিজাইনের পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছিল ‘শামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমি’ নামের এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চত্বরে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল লোকে লোকারণ্য। সকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আল-আমীন।
এতে বক্তব্য দেন ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি সদস্য ও সাংবাদিক মো. জাহিদুল হক মনির, আয়োজক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ মিয়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে আজাদ, সাংবাদিক মো. গোলাম রব্বানী টিটু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাহারি রঙের পিঠা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। দেশে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসবে পিঠার প্রলন অতি প্রাচীন। এ ধরনের আয়োজন সবাইকে গ্রাম-বাঙলার সংস্কৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
উৎসবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ৬টি স্টলে রংবেরংয়ের বাহারি ডিজাইনের লবঙ্গ লতিকা, পাটিসাপটা, হৃদয় হরণ, শঙ্খ, স্পঞ্জ, গোকুল, মিষ্টিপুলি, পায়েস রোল, সেমাই, রস, নকশি, পেয়াজু, গাজরের মিষ্টিপান, সুজি, ডিমের ঝাল পাটিসাপটা, নুডলস, চিতই, তেল, তালের, খির চমচম, খেজুর, দুধপুলি, কেক, মিষ্টি ছাড়াও আরো বিভিন্ন নামের পিঠা। টেবিলে রকমারি থালায় থরে থরে সাজিয়া রাখা হয়েছে এসব পিঠা। যা দেখলে জিহ্বায় আসে পানি। অগত্যা দর্শনার্থীরা পিঠা খেতে ভিড় জমায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও দর্শনার্থীরা জানান, দামও রাখা হয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। মাত্র পাঁচ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে যে কেউ পিঠা কিনে এর স্বাদ নিতে পারেন। বিদ্যালয়ের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতি লালন করতে প্রতিবছরই এ উৎসবের আয়োজন করেন তারা। এখানে তারা পিঠার দোকান দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা পিঠা সম্পর্কে তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানা হচ্ছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করতে শিখছে। সবার সহযোগিতা পেলে আগামীতেও এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করবেন বলে জানান তারা।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর