
ইদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে উপহার দেওয়ার কথা বলে গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপারের ভুয়া পরিচয় দিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে হাতি নেওয়া ২ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামীরা হলো, মো. যুবরাজ মাতুব্বর (২৭), মো. সামিউল ইসলাম আলীম (৪২) ও রাকিবুল হাসান রাতুল (২০)।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি জানিয়েছেন, গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক।
তিনি আরো জানান, একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ, নগদ ও রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। গাজীপুরেও এমন একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটলে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্ত শুরু করি। তথ্য প্রযুক্তি ও অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ গ্রহণকারী প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে ফরিদপুর ও গাজীপুর মহানগরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, ঈদের আগে আগে আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। সে সময় এসপির সাহেবের নাম ছবি ব্যবহার করে ওয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে টাকা চাইল। আমি ভাবলাম ঈদের আগে পুলিশ সদস্যদের উপহার দেয়ার জন্য হয়ত টাকা দরকার। তাই সরল বিশ্বাসে আমি টাকা পাঠালাম। পরে তারা আমার নিকট আরো টাকা চাইলে আমার সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানাই। পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর