
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের আমতলা ব্রিজ থেকে পারভবানীপুর আল হেরা মসজিদ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ হওয়ার মাত্র চার দিন পরেই উঠে যেতে শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশের কারণেই এই দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন জানান, কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের বিটুমিন ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। বালির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে মাটিমিশ্রিত বিটবালি, যা সড়কের স্থায়িত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, “আমরা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে জানিয়েও কোনো সাড়া পাইনি।”
অন্য বাসিন্দা মেহেদী, রাশেদ ও ইয়াসিন বলেন, “উপজেলা প্রকৌশলীকে ‘ম্যানেজ’ করে ঠিকাদার নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করেছেন। ফলে নির্মাণের তিন-চার দিনের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে।”
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, “এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। নির্মাণের পরপরই কার্পেটিং উঠে যাওয়া মানে কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। যারা এ অনিয়মে জড়িত, তাদের শাস্তি চাই।”
খামারকান্দি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান মিলন বলেন, “আমি শুনেছি রাস্তাটি নির্মাণের কিছুদিন পরেই কার্পেটিং উঠে গেছে। তবে যেহেতু কাজটি উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর তদারকি করেছে, সঠিক তথ্য তারাই দিতে পারবেন। আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের কিছু জানানো হয়নি।”
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বলেন, “আমি বাইরে আছি, তাই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। তবে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার কথা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি অফিসে ফিরে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর