
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৩ ঘণ্টার মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মফিজুল ইসলাম (৩১) ও আবু তালেব গাজী (২৮)। মফিজুল ইসলাম লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার জুর্গাছড়ি এলাকার মনিরুল ইসলামের সন্তান এবং আবু তালেব গাজী একই এলাকার হামিদুল গাজির সন্তান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে লক্ষ্মীছড়ির গুচ্ছগ্রাম এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ভিকটিম (১৮) গোসল করতে এবং পরিধেয় কাপড় চোপড় ধোয়ার জন্য তাদের ঘরের সামনে রাস্তার নিচে খালে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা অজ্ঞাতনামা ২জন আসামি ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে পাশে থাকা গাছের আড়ালে নিয়ে যায়।
তখন ২ জন আসামির মধ্যে ১ জন আসামি ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং অপর আসামি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এভাবে অপর আসামীও ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং পূর্বে ধর্ষণ করা আসামি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে অজ্ঞাতনামা ২ জন আসামির বিরুদ্ধে লক্ষীছড়ি থানায় ধারা- ৯ (৩), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০; তৎসহ ধারা- ৮ (১)/৮ (২), পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ রুজু হয়।
মামলা রুজুর সাথে সাথে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল (বিপিএম) নির্দেশনায় লক্ষীছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ খালেদ হোসেন এর নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। ভিকটিমের দেয়া আসামিদের দৈহিক বর্ণনা, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলা রুজুর ৩ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত আসামিদ্বয়কে গ্রেফতার পরবর্তী থানায় নিয়ে আসলে মামলার ভিকটিম উক্ত আসামিদ্বয়কে শনাক্ত করে। আসামিদ্বয়ও প্রাথমিকভাবে তাদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ খালেদ হোসেন বলেন, 'অজ্ঞাত ২ জন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হলে আমরা ভিকটিমের দেয়া আসামিদের দৈহিক বর্ণনা, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলা রুজুর ৩ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
প্রাথমিকভাবে আসামিরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর