
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছেলেদের পাঁচটি আবাসিক হলের মিলনস্থলে অবস্থিত লেকে দৃষ্টিনন্দন নতুন একটি ঘাটের উদ্বোধন করা হয়েছে।
ওই ঘাটের নামকরণ করা হয়েছে 'ভ্রাতৃত্বের মোহনা'। এতে করে বাকৃবির নতুন একটি স্থাপনা হিসেবে জায়গা করে নিলো এই ঘাটটি।
শনিবার (৩ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে ওই ঘাটটির উদ্বোধন করেন।
ছেলেদের শাহজালাল হল, ঈশা খাঁ হল, শহীদ জামাল হোসেন হল, শহীদ নাজমুল আহসান হল ও শহীদ শামসুল হক হলের মাঝে অবস্থিত লেকে ওই ঘাটটি নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উদ্বোধনের পর ঘাটটিকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় পাঁচ হলের হাজারো শিক্ষার্থীকে।
উদ্বোধনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞাসহ শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।
শহীদ শামসুল হক হলের শিক্ষার্থী সুমন চক্রবর্তী বলেন, ভ্রাতৃত্বের মোহনা আমাদের জন্য শুধু একটি ঘাট নয়, এটি এখন আমাদের একত্র হওয়ার স্থান। ক্লাস, পরীক্ষা কিংবা গবেষণার চাপের ফাঁকে আমরা এখানে এসে মনকে শান্ত করতে পারবো। পানিতে সাঁতার কাটার সুযোগটাও আমাদের স্বাস্থ্যচর্চার অংশ হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে শাহজালাল হলের শিক্ষার্থী বেনি আমিন বলেন, আগে আমরা পুকুরে নামতে সংকোচ বোধ করতাম। কোনো সুনির্দিষ্ট ঘাট না থাকায় নিরাপত্তার বিষয়েও ভাবতে হতো। এখন ঘাটটি তৈরি হওয়ায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে সাঁতার কাটতে পারবো। এটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠবে বলে মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।
বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ঘাটটির জন্য অবশ্যই শিক্ষার্থীরা সুফলভোগী হবে। ঘাটটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং শিক্ষার্থীরা এখন সহজেই এখানে সাঁতার কাটতে পারবে।
তাছাড়া পানিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজনও ভবিষ্যতে করা হবে। পুকুরের পানি দূষণমুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্দ্ধিধায় এখানে সাঁতার কাটতে পারে।
এ বিষয়ে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি যখন শহীদ শামসুল হক হলের শিক্ষার্থী ছিলাম তখন এই পুকুরে গোসল করতে নামতাম। তখন এখানে ঘাট ছিলো না ফলে পুকুরে নামতে অনেক বেগ পেতে হতো, অনেক চিন্তা ভাবনা করে নামতে হতো। এসব বিবেচনা রেখে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘাটটি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা ঘাটে বসে অবসর সময় কাটাতে পারবে, সাঁতার কাটতে সহজেই পুকুরে নামতে পারবে, বলতে গেলে ঘাটটি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্মেলনস্থলে। যেহেতু ঘাটটি হবে এক ভ্রাতৃত্বের মিলনস্থল সেজন্য ঘাটটির নাম আমরা দিয়েছি 'ভ্রাতৃত্বের মোহনা'।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর