
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)–এর গুলিতে সাকিব মিয়া (১৮) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় ভারতের সুজিত বর্মণ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি আহত হন।
রোববার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাকিব মিয়া বায়েক ইউনিয়নের মাদলা পুরাতন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোতাহার হোসেনের ছেলে। তিনি তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন।
ঘটনার বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় সাকিব মিয়া ও কয়েকজন ব্যক্তি সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে ভারতীয় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সাকিব ও সুজিত বর্মণ গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকালে সাকিব চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত সুজিত বর্মণ বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার দুপুরে সাকিবের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে সেখানে স্বজনদের আহাজারিতে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হন।
প্রশাসনের বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া
নিহতের বাবা মোতাহার হোসেন বলেন, “আমার ছেলে বাংলাদেশের ভেতরে ছিল। বিএসএফ গুলি করে তাকে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম খান রবিন বলেন, “সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকাকালীন বিএসএফ গুলি ছুড়ে সাকিবকে হত্যা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।”
এ ঘটনায় বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, “গভীর রাতে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে মোটরসাইকেল আনার সময় বিএসএফের গুলিতে সাকিব মিয়া নিহত হন। আহত ভারতীয় নাগরিক সুজিত বর্মণ ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
সর্বশেষ খবর