
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নিজ নিজ সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ করা উচিত।
আমরা তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছি, না হলে তারা নীতিনির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে না।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদলে ছিলেন সোশালিস্ট ইউথ লিগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এ ইউ এফ-এর আন্তর্জাতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় বোর্ড সদস্য ফাউজি ওয়ারসামে, সেন্টার পার্টির সদস্য ডেন স্কফটারুড, কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ওলা স্ভেনেবি; খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটসের সদস্য হ্যাডলে রাসমুস বিজুল্যান্ড, গ্রিন পার্টি-সংযুক্ত গ্রিন ইয়ুথের সদস্য টোবিয়াস স্টকেল্যান্ড এবং ইনল্যান্ডেট অঞ্চলের ইয়াং লিবারেলস-এর সাবেক নেতা থাইরা হাকনসলকেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের রাজনৈতিক পটভূমি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার সম্পর্কেও জানতে চান।
সাক্ষাতকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশে তরুণদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, অনেক বাংলাদেশি তরুণই তাদের জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি।
তারা জানতে চান, তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকারের প্রধান অঙ্গীকারই হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। টানা তিন মেয়াদে একটি ভুয়া ভোট ব্যবস্থা চালু ছিল। কর্তৃপক্ষ একে বিশাল সাফল্য বললেও বাস্তবে কেউই ভোট দিতে পারেনি। তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।
দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ‘সেকেলে’ আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আগের রেখে যাওয়া বিশৃঙ্খলা পরিষ্কার করা।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে টুকরোগুলো তুলে নিয়ে নতুন সূচনার জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর