
জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় তামিম ইকবাল বলেছেন, নিজেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, ‘স্পোর্টসম্যান’ হিসেবেই তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় দলে খেলোয়াড় কেন যাচ্ছে না—সেই প্রশ্ন তুলে তিনি আগামীতে সমাধান করার প্রস্তাবনা দেন।
শনিবার (১০ মে) নগরের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের সমাবেশে তিনি একথা বলেন। এর আগে বিকেল ৫টা নাগাদ তামিম ইকবাল পলোগ্রাউন্ড মাঠে পৌঁছান। তখন মাইকে ঘোষণা হতে থাকে সমাবেশে তামিমের উপস্থিতির খবর। নেতাকর্মীরাও স্লোগানে স্লোগানে স্বাগত জানান তাকে।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই আমি স্পোর্টস নিয়ে কিছু কথা বলবো। একসময় মানে চট্টগ্রাম থেকে ৫-৬ জন করে ন্যাশনাল টিমে প্রডিউস করতো। কিন্তু লাস্ট ১০-১৫ বছর আগে সেরকম প্লেয়ার উঠে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাইবো, আগামীতে যেন উঠে আসে। এজন্য কার জন্য কি প্রতিবন্ধকতা হয়েছে তা নয়। আমরা কেন ন্যাশনাল টিমে যেতে পারিনি তা দেখতে হবে। আর কি করলে আমরা স্পোর্টসে আরও অংশগ্রহণ করতে পারবো, অবদান রাখতে পারবো তা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
পলোগ্রাউন্ড মাঠে দেখা যায়, দুপুর ১২টার পর থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার নেতাকর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেন। আনুষ্ঠানিক সমাবেশ শুরুর আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। হাতে ব্যানার, মাথায় ক্যাপ আর মুখে স্লোগান। নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আশপাশের সড়ক।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সমাবেশে আরো উপস্থিত আছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ।
এদিকে নগরজুড়ে তীব্র গরমে কার্যত হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। এমন গরমের মধ্যেও নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম নগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ফেনী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসেছেন তারা।
মহাসমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়েছে নানা প্রস্তুতি। থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে হয়েছে একাধিক প্রস্তুতি সভা ও প্রচারণা কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, তীব্র গরমের মধ্যেও সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে তরুণদের সচেতন করা, দেশপ্রেম জাগ্রত করা এবং আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই তারুণ্যের সমাবেশ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর