
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০টি বসতঘরে হামলা, লুটপাট এবং একটি একতলা বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শনিবার (১০ মে) সকালে সংঘটিত এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (১১ মে) সকালে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। রাঙ্গারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধনে অংশ নেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত মান্নান মাতুব্বর, বাদশা মোল্যা, ওবায়দুর খা, সুমন সরদার, নাছিমা বেগমসহ আরও অনেকে। তারা অভিযোগ করেন, এ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান লাভলু, শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল এবং যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ফরহাদ মোল্লার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মান্নান মাতুব্বর বলেন, “আমি কোনো রাজনীতি করি না। কিন্তু ২০১৪ সালে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ আমার বাড়িতে আসার পর থেকে যুবলীগ নেতা ফরহাদ মোল্লা আমাদের টার্গেট করে আসছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে মিলেই আবারও বাড়িঘরে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।”
ভুক্তভোগীদের দাবি, সহস্রাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খারদিয়া, সোনাপুর ও রঙ্গরায়েরকান্দী এলাকা থেকে এসে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় নারীরা ভয়ে পালিয়ে যায়, শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল রানা ফরহাদ মোল্লা বিডি২৪লাইভকে বলেন, “আমি আগে যুবলীগ করতাম, তবে সরকারের পতনের পর এখন আর কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। ঘটনাটির সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আমি একটি চাকরিতে যোগ দিয়েছি, সেটিতেই মনোযোগী।”
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে আকিকার মাংস নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরদিন শনিবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর