
ফরিদপুরের নগরকান্দায় নয় দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ঐতিহ্যবাহী ১৮ নং জুঁঙ্গুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।
১৯৩৮ সালে স্থাপিত উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও অ্যাসেম্বলির জন্য নেই একটি সমতল মাঠ ও সীমানা প্রাচীর।
ব্যস্ততাপূর্ণ প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের ছোট ছোট সোনামণিদের নিরাপত্তা কতটুকু? স্কুলটির সীমানা ঘেঁষে নগরকান্দা-তালমা সড়কে প্রতিনিয়ত চালছে ভারী ও হালকা যানবাহন। স্কুল ছুটির পরে একসাথে প্রধান সড়কে ছেলেমেয়েরা বের হয়ে আসলে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রশ্ন থেকেই যায় এটি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দায়িত্ব অবহেলা, নাকি ব্যর্থতা?
দীর্ঘদিনের পুরাতন এই স্কুলে নেই ছেলে-মেয়ে খেলাধুলা করার মত একটি সমতল মাঠ, এমনকি নেই অ্যাসেম্বলি করার মত সুব্যবস্থা ও। স্কুলে আসার পরে প্রধান সড়কের আশে পাশে এলোমেলো চলাফেরা করে শিক্ষার্থীরা, উদ্বিগ্ন অভিভাবকগণ। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কার?
এবিষয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ফিরোজা খানম বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি বেশি দিন আগে নয়। প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে থাকে। আবার মাঠ সমতল না হওয়ায় অ্যাসেম্বলিতে ও অসুবিধার হচ্ছে। মোট ৪৬ শতাংশ জমি থাকলেও তার একাংশ পুকুর। উর্ধ্বমুখী ভবন, সীমানা প্রাচীর ও মাঠ ভরাট করার জন্য প্ল্যান জমা দিয়েছি। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওনক আরা বিডি২৪লাইভকে বলেন, সীমানা প্রাচীরের জন্য একটি আবেদন ও স্টিমেট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মাঠ ভরাটের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনিও আরোও বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে দেখবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বিডি২৪লাইভকে বলেন, প্রাচীর নির্মাণ ও মাঠ ভরাটের জন্য প্রধান শিক্ষক একটি আবেদন ও স্টিমেট জমা দিলে অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ আসবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজটি করার বিষয়ে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবীর বিডি২৪লাইভকে বলেন, নতুন অর্থ বছরের বরাদ্দ আসলে টিআর এর আওতায় এটি করে দিব। আমি না থাকলে পরবর্তী যিনি আসবেন তিনি করবেন।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর