
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
নিম্নচাপের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে গত বুধবার রাত থেকে লাগাতার ভারী বর্ষণে
পাহাড়ধস ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ এলাকায়
বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে। খাগড়াছড়ি
সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় খোলা হয়েছে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও আশ্রয় কেন্দ্র।
শুক্রবার বিকালে কলাবাগান, শালবন সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সরেজমিনে
পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
এসময় খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান মারুফ, সহকারী কমিশনার
এ জেড এম নাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বাড়তে শুরু
করেছে। এতে বন্যার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা সদরের গঞ্জপাড়া
এলাকার কিছু বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও খাগড়াছড়ি পৌরসভার কলাবাগান, শালবন, কুমিল্লাটিলা, মোল্লাপাড়া,
সবুজবাগ সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পরিবার পাহাড়ের পাদদেশে
ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ বলেন, "বৃষ্টি
অব্যাহত থাকলে বন্যা এবং পাহাড় ধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির
লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করেছি।
ঝুঁকি এড়াতে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করছি।'
খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন,
'ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা ঝুঁকিতে থাকা
বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানাচ্ছি।'
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, 'দূর্যোগ
মোকাবেলায় আমরা সব প্রস্তুতি রেখেছি। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র এবং দূর্যোগ
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন
এবং ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা
মাঠপর্যায়ে গিয়ে মানুষকে সচেতন করছি। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আহ্বান
জানাচ্ছি।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর