মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় মনিরুল ইসলাম নামের এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাব্বির আহমেদ নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মনিরুল ইসলাম স্থানীয় ‘জুড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি, ‘জুড়ী প্রেসক্লাব’র সাংগঠনিক সম্পাদক এবং  বিডি২৪লাইভ এর জেলা প্রতিনিধি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের এক খণ্ডকালীন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী ১৫-২০ জন হতদরিদ্র নারী তাদের ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।

সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি জানতে পারেন, জুড়ী উপজেলার মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সরকার থেকে প্রাপ্য মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে জুড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের লোকজন আত্মসাৎ করছেন। এই সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ মে তিনি ভুক্তভোগী প্রায় ১৫ জন নারীর বক্তব্য ভিডিও করেন।

মনিরুল ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী, পরবর্তীতে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মহিলা বিষয়ক অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সুজা দৌলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এরপর তিনি ভুক্তভোগীদের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য দিতে না চাওয়ার ভিডিওসহ একটি সংবাদ প্রচার করেন।

সংবাদ প্রকাশের পর ৩০ মে সাব্বির আহমেদ নামের এক ব্যক্তি দুটি ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন। সাব্বির আহমেদ (৩৩) জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর সাগরনাল গ্রামের মৃত সামছ উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি হুমকির কল রেকর্ড করে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জের অফিসিয়াল নাম্বারে প্রেরণ করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হুমকির অডিও তিনি শুনেছেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।