
রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের মাগুড়াডাঙ্গী গ্রামে নিজের গর্ভধারিণী মাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে, প্রতারণার মাধ্যমে মায়ের সম্পত্তি দখলে রেখে তা বিক্রির চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। এ ঘটনায় ছেলে খোন্দকার ফজলে রাব্বী সাগরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মা ফিরোজা খোন্দকার।
জানা গেছে, মাগুড়াডাঙ্গী মৌজার এস এ ৩০ নং খতিয়ানে বিএস ৩২৮ নং খতিয়ান প্রস্তাবিত এবং আর এস ৪৯২ নং দাগ ও বিএস ৪১৪ নং দাগে বাড়িসহ ২ আনায় ৮৭ শতাংশ জমির মধ্যে পশ্চিমাংশের ৪৩.৫০ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে ছেলে খোন্দকার ফজলে রাব্বী ওরফে সাগর তার মা মোছাঃ ফিরোজা খোন্দকারের কাছ থেকে নিজের নামে করে নিয়েছেন। এ অভিযোগে রাজবাড়ীর জেলা জজ আদালতে ছেলে খোন্দকার ফজলে রাব্বী সাগরকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন ফিরোজা খোন্দকার। মামলা নং- ১৩৫৭।
ফিরোজা খোন্দকার অভিযোগ করেন, তার ছেলে সাগর বিভিন্ন সময়ে এই জমি বিক্রির কথা বলে একাধিক মানুষের কাছ থেকে বায়না বাবদ টাকা নিয়েছেন। প্রথমে ৮ লক্ষ টাকা বায়না ফেরত দিলেও পরবর্তীতে অন্য এক ব্যক্তির কাছে বায়না করে টাকা নেন। দীর্ঘদিনেও জমি বিক্রি করতে না পারায় সেই বায়না বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে এক বিদেশ ফেরত ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রির চেষ্টা করছেন সাগর।
এ বিষয়ে ফিরোজা খোন্দকার বলেন, "এই জমি আমার। আমি ছাড়া কেউ বিক্রি করতে পারবে না। আমার সাথে প্রতারণা করে জমির দলিল করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। জেনে বুঝে যদি কেউ এই জমি কেনে, সে ঠকবে এবং কখনো জমি পাবে না।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাগরের স্ত্রী মুন্নি একজন প্রতারক এবং তার জমি ও সম্পদ ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। এর আগে তিনি মুন্নির একাধিক খারাপ কাজে বাধা দেওয়ায় তার সাথে খারাপ ব্যবহার ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি, তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ফিরোজা খোন্দকারের অভিযোগ, সাগরের স্ত্রী একজন নেশাগ্রস্থ নারী এবং বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে সাগর ও তার স্ত্রীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ফিরোজা খোন্দকারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম জানান, মামলাটির শুনানি চলছে এবং তারা আদালতে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী।
সর্বশেষ খবর